22-02-2018 11:34:15 AM
অর্থমন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্বশুরবাড়ি সূত্রে পাওয়া একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন। ক্রেতা প্রকৃত মূল্য পরিশোধ করলেও নিবন্ধনের সময় দাম ৩০ লাখ টাকা কম দেখান বিক্রেতা-দলিল মূল্যের খরচ কিছুটা বাঁচাতে। এতে বেকায়দায় পড়েন বিক্রেতা। বৈধ সম্পদ বিক্রি করে পাওয়া ওই ৩০ লাখ টাকার উৎস দেখাতে পারছেন না তিনি। এ ৩০ লাখ ‘কালো টাকা’ ব্যবহার করার কোনো উপায় না দেখে তিনি ছুটে যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন, উৎস প্রদর্শিত না হলে সে অর্থ কালো টাকা হিসেবেই গণ্য হবে, কারো কিছু করার নেই। হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন তাঁর বন্ধুটি। এ তথ্য দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনার পরই অর্থমন্ত্রী জমির দলিল ফি হ্রাসের উদ্যোগ নেন।
বাংলাদেশ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার হওয়ার যেসব কারণ রয়েছে, এর অন্যতম হচ্ছে ‘কালো টাকা’ এখানে আইনে অবৈধ। এ রকম বাস্তবতায়ই বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বন্ধুকে পথ দেখাতে না পারলেও ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী মুলিয়ানি ইনদ্রাওয়াতি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশটির মানুষ বিনা শর্তে জানাতে পারবে তাদের অবৈধ অর্থের তথ্য। এতে সাড়া দিয়ে সাত লাখ ৭৫ হাজার করদাতা তাঁদের হাতে ৩৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ থাকার কথা প্রকাশ করেন। এ অর্থের উৎস জানতে না চেয়ে ইন্দোনেশিয়া শুধু শর্ত দিয়েছিল, ৩ শতাংশ হারে কর নেওয়া হবে। এভাবেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি ‘কালো টাকা’ দেশের ভেতরে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়। মন্দা আক্রান্ত ইন্দোনেশিয়ায় এখন আকাশচুম্বী ভবন উঠছে, অবকাঠামো খাতে বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে ইন্দোনেশিয়ায় দারিদ্র্যের হার কমেছে ৪০ শতাংশ, সরকারের ঋণভার কমেছে ৫০ শতাংশ। ‘ট্যাক্স অ্যামনেস্টি স্কিম’ দিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার স্বীকৃতি হিসেবে মুলিয়ানি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে’ গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের অর্থমন্ত্রী বা ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ড পদকে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন প্রকাশিত বিশ্বের শক্তিশালী নারীদের মধ্যে তাঁর অবস্থান ৩৭ নম্বরে উঠে আসে।
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে আয়-ব্যয়ের সঙ্গে সঞ্চয়ী টাকার হিসাব না মিললেই অর্থ ‘কালো’ হয়ে যায়। শাস্তি জোটে জেল-জরিমানা। ফলে অনেকে সে অর্থ বিদেশে পাচার করে দেন। আবার ঘুষ-দুর্নীতির অর্থও পাচার হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অবাধে ও শর্তমুক্তভাবে বিনিয়োগের সুযোগ না দেওয়া হলে অর্থপাচার চলবেই। বৈধ অর্থের অনেক মালিকও বিনিয়োগ করতে গিয়ে অর্থের উৎস, সঠিকভাবে রাজস্ব দেওয়া হয়েছে কি না, আয়ের সঙ্গে বিনিয়োগের কোনো সামঞ্জস্য আছে কি না ইত্যাদি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সরকারের সংস্থাগুলোকে সন্তুষ্ট করার চেয়ে বিদেশে পাচার করাকে অনেক সহজ মনে করেন। এই অর্থশালীদের মধ্যে ব্যবসায়ী ছাড়াও আছেন আমলা, পেশাজীবীসহ অন্যরা।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পাচার বন্ধে বিনিয়োগ সহজীকরণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দুটি দিক চিন্তা করে বিনিয়োগ করেন। নিরাপত্তা ও মুনাফা। আমরা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলছি। বলেছি, কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে তাকে আমরা জমি দেব, গ্যাস-বিদ্যুৎ দেব। আমদানি-রপ্তানিতে কর ছাড় দিয়েছি, নানা ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছি। আমরা ঘোড়ার মুখের কাছে পানি এনে দিতে পারি, কিন্তু ঘোড়াকে তো আর জোর করে খাইয়ে দিতে পারব না।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য নাভাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার না হয়ে দেশের ভেতরেই বিনিয়োগ হলে তা নিঃসন্দেহে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, প্রবৃদ্ধি বাড়বে। সার্বিকভাবেই দেশ লাভবান হবে। তবে বিডা শুধু দেশের ভেতরে বিনিয়োগের বিষয়টিই দেখভাল করে। তাই এ বিষয়ে আমার পক্ষে বিস্তারিত মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশে আবাসন খাত ও পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বাজেটে। জরিমানাসহ নির্দিষ্ট হারে আয়কর পরিশোধ সাপেক্ষে ওই অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাতে ভয় কাটেনি অপ্রদর্শিত অর্থের মালিকদের। কারণ, এনবিআর টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে না চাইলেও দুদক যেকোনো সময়ই ডাকতে পারে, চাইতে পারে হিসাব। তখন হিসাব মিলিয়ে দিতে না পারলেই মামলা, জেল-জরিমানার ভয় থেকে যায়। তাই এ দুটি খাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিনিয়োগ হচ্ছে না। দেশের ভেতরে ফ্ল্যাট না কিনে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে ফ্ল্যাট, বাড়ি ও জমি কিনছে বাংলাদেশিরা। আর বাংলাদেশে ফ্ল্যাট নির্মাণ শেষে বিক্রি করতে পারছেন না আবাসন ব্যবসায়ীরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, বছরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা দেশে যত টাকা বিনিয়োগ করেন, প্রায় এর সমান অর্থ পাচার করেন বিদেশে। শুধু ২০১৪ সালেই বাংলাদেশ থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে আমদানি-রপ্তানির সময় পণ্যের দাম হেরফের করে। বাকি ১১ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে নগদ অর্থ পাচার হয়েছে।
সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কনসোর্টিয়াম আইসিআইজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ বাংলাদেশের ১৮ জন ব্যবসায়ী ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র মাল্টায় অর্থপাচার করে বিনিয়োগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সেখানে শিপিং কম্পানি গড়ে তুলেছেন। এই ১৮ জনসহ প্যারাডাইস পেপারসে ৮৬ ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ পেয়েছে, যারা অর্থপাচার করেছেন। পানামা পেপারসের অর্থপাচারকারীদের মধ্যেও বাংলাদেশিদের নাম রয়েছে।
মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ তিনে। ২০০২ সাল থেকে ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১০ শতাংশই বাংলাদেশি। ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ থেকে এত বেশি বিনিয়োগ হলেও ভারত, পাকিস্তানের বিনিয়োগ অনেক কম। এই প্রকল্পে মালয়েশিয়া পাঁচ লাখ রিঙ্গিত (প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা) বিনিয়োগ করলেই ১০ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়। অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। এ ছাড়া কানাডা, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করছেন বাংলাদেশের ঘুষখোর চাকরিজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ রাজনীতিবিদরা। এ তথ্য তাঁরা জানানও দেন রাখঢাক ছাড়া।
একজন আবাসন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয় করে শেষ জীবনে হয়তো একটি ফ্ল্যাট কিনছেন; কিন্তু ওই ফ্ল্যাটের মূল্যের আয়ের উৎস দেখানোর শর্ত থাকায় অনেকেই ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কেউ কেউ ফ্ল্যাট যে দামে কেনেন, তার অর্ধেক দাম দেখিয়ে নিবন্ধন করেন। আবার আইনি জটিলতা ও মামলার ভয়ে অনেকে ফ্ল্যাট কিনলেও তার রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করেন না। আমার জানামতে, ১২ বছর আগে ফ্ল্যাট কিনেছেন; কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলোর ঝামেলা এড়াতে এখনো তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করেননি।’
রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, অনেকে গ্রামের জমি বিক্রি করার সময় হয়তো জমি বিক্রির টাকার হিসাবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি। পরে তিনি যখন ওই টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে আসেন, তখন দুদক তাঁর আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জমি বিক্রির কথা বলছেন; কিন্তু কোনো প্রমাণ দিতে পারছেন না। এ ধরনের অনেকেই বৈধ আয় কিন্তু অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়েও দেশে ফ্ল্যাট-প্লট কিনতে পারছেন না। তাঁরা তখন বাধ্য হয়ে টাকা বিদেশে পাচার করছেন। খুব সহজেই মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি কিনছেন। এই রিহ্যাব নেতা বলেন, ‘জরিমানা ছাড়াই আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে সুযোগ দেওয়া উচিত। এতে অর্থপাচার কমে যাবে।’
দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশে যাঁরা আইন মেনে ব্যবসা করছেন, তাঁরাও বিদেশে অর্থপাচার করছেন। বিদেশে বাড়ি কিনতে ও নাগরিকত্ব পেতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অর্থপাচার হচ্ছে। দেশের ভেতরে বিনিয়োগ করতে গেলে বা আইনি পথে বিদেশে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিলে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সৎ ব্যবসায়ীদেরও অনেক সময় হয়রানি করা হয়। তাই ঝামেলায় না জড়িয়ে পাচারের মতো সহজ পথে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থপাচার নিরুৎসাহিত করতে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধ করে যেকোনো খাতে যে কাউকে অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া উচিত। এখানে আর কোনো শর্ত থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে পুঁজিবাজার, আবাসন খাত, অবকাঠামো নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী শিল্পের বিভিন্ন খাতে সব ধরনের অর্থ বিনিয়োগে উৎসাহিত করা উচিত।
দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘টাকা এমন এক জিনিস, মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেও এর পাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাই পাচার বন্ধের চেষ্টা করার চেয়ে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের দেশের ভেতরে বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত হলে, ব্যবসায়ীরা ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে বিনিয়োগের সুযোগ পেলে কেউই বিদেশে অর্থপাচার করবে না। তাতে দেশও লাভবান হবে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।’ এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, ‘টাকা যাতে পাচারের বদলে দেশেই বিনিয়োগ হতে পারে, সরকার সেদিকে মনোযোগ দিতে পারে। সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা দিয়ে ঘোষণা দিতে পারে যে দেশের ভেতরে বিনিয়োগ করা হলে বিনিয়োগের অর্থের উৎস সম্পর্কে সরকারের কোনো সংস্থা জানতে চাইবে না। এতে পাচার কমার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কর্মসংস্থান বাড়বে, উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশে যাতে কালো টাকা তৈরি না হয়, সে জন্য ঘুষ-দুর্নীতি কমাতে হবে।’
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘দুদকের কাজ রোগী মরিবার পর তদন্ত করা। পাচার হওয়ার আগে তা রোধ করতে পারে না সংস্থাটি। প্রথমত পাচার কিভাবে হচ্ছে, তা সবারই জানা। তা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আর পাচার হওয়ার বদলে দেশে বিনিয়োগ হওয়া ভালো। সে জন্য দেশের মানুষ যাতে নিজের অর্থ দেশেই ভয়-ভীতিহীনভাবে বিনিয়োগ করতে পারে সে সুযোগ দেওয়া উচিত। অর্থপাচারের পথ খোলা রেখে পাচার বন্ধ করা যাবে না।’