07-02-2018 05:14:27 PM
এক গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের বৃহত্তম কেলেঙ্কারির পাশাপাশি চাতুর্যের আশ্রয়ও নিয়েছে জনতা ব্যাংক। ঋণ কম দেখাতে ব্যাংক তাদের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানকে তিনটি পৃথক গ্রুপ বলে উল্লেখ করেছে। নিয়মনীতি ভেঙে এক গ্রাহককে বেশি ঋণ দেওয়ার তথ্য লুকাতেই এই চাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেওয়া প্রতিবেদনেও ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণকে তিনটি পৃথক গ্রুপ হিসেবে দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রশ্ন তোলেনি খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। ব্যাংকটির নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে ।
তবে পাওনা বাড়তে থাকায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এখন ২২ প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণকে একক গ্রুপের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে–বেনামে অনেকে থাকলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ইউনুস (বাদল) একাই। আর তাঁর গ্রুপের নাম এননটেক্স। আর এই ঋণ কেলেঙ্কারির শুরু ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের সময়ে।
গতকাল সোমবার ‘একক ব্যক্তির ঋণে বৃহত্তম কেলেঙ্কারি’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে আরও অনুসন্ধান শেষে রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের নতুন এই কেলেঙ্কারির তথ্য পাওয়া যায়।
এ নিয়ে গতকাল কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, জনতা ব্যাংক একসময় সেরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু আবুল বারকাতই ব্যাংকটি শেষ করে দিয়েছেন।
ব্যাংকের কারসাজি