বাংলাদেশ | শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | ৫ বৈশাখ,১৪৩১

অর্থনীতি

31-12-2017 10:35:08 AM

পেঁয়াজের ঝাঁজে বছর শেষ

newsImg

বছরের শুরুটা হয়েছিল চালের বাজারের অস্থিরতা দিয়ে, যার ধারাবাহিকতা প্রায় বছরজুড়েই ছিল। আর শেষ দিকে এসে যখন চালের বাজার একটু স্থির হতে শুরু করেছে, তখনই অস্থিরতা শুরু হয় পেঁয়াজের বাজারে।আর এই পেঁয়াজের ঝাঁজের মধ্য দিয়েই ভোক্তারা পার করতে যাচ্ছে পুরনো এ বছরটিকে।

 চলতি বছরের একেবারে শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি চালের দাম বাড়ে এক-দুই টাকা করে। সামান্য বেড়েছিল বলে ভোক্তারা খুব একটা বিচলিত হয়নি। তবে মাসখানেক পরে আবারও এক-দুই টাকা করে চালের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তখন থেকে মূলত কষ্টের শুরুটা। এর প্রায় ২০ দিন পর পর চালের দাম বাড়ার পাশাপাশি চাপ বাড়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়। এ অবস্থায় খাদ্যমন্ত্রী যখন চালকল মালিকদের ডেকে নিয়ে মিটিং করে চালের দাম না বাড়ানোর অনুরোধ করেন, তার পরই আসে বড় ধাক্কাটি। এপ্রিলের শেষ দিকে অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে হাওরাঞ্চলের ধান ডুবতে শুরু করে। এরপর বাঁধ ভেঙে গোটা অঞ্চলই প্লাবিত হয়ে পড়ে।এতে নতুন ফসলের বড় ক্ষতি হয়।

 এ সময় মোটা চালের দাম ৪০-৪২ থেকে একেবারে ৫০ টাকায় উঠে আসে, আর চিকন চাল ৫৫-৬০ থেকে বেড়ে পৌঁছায় ৬৫-৭৫ টাকায়। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী ওই অস্থিরতার মধ্যে মোটা চালের দাম একবছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। অথচ দাম না কমলেও এ সময় ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর নামে সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা আদায় করে নেয়। চাল আমদানির ওপর আরোপিত ২৮ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে দুই ধাপে ২ শতাংশে নিয়ে আসা হয়। এরপর চালের দাম কমাতে ব্যবসায়ীরা প্রায় এক মাস সময় লাগিয়েছে। তারপর দাম ধীরে ধীরে কমেছে; কিন্তু বছরজুড়ে যতটা বেড়েছে, ততটা নয়। এরপর আমন ধান উঠেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থার (টিসিবি) তথ্য মতে, ২০১৬ সালের ঠিক এই সময়ে মোটা চাল কিনতে হয়েছে ৩৫-৩৮ টাকায়; কিন্তু ২০১৭ একই সময়ে এই চাল কিনতে হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। এ অবস্থা সঙ্গী করেই ভোক্তারা নতুন আরো একটি বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে।

নভেম্বর মাসের দিকে যখন চালের দামে ভোগান্তি কিছুটা কমল, তখনই শুরু হলো পেঁয়াজের যন্ত্রণা। পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করল। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এসে দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম উঠল ১৪০ টাকা, যা নতুন রেকর্ড। যদিও এখন নতুন পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়।

চালের দাম যখন সর্বোচ্চ পরিমাণ তখন সবজির দামও ছিল আকাশছোঁয়া। আলু ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া দুষ্কর ছিল। ফলে পুরো বছরের হিসাবে নিত্যপণ্যের বাজারে মোটেই স্বস্তি ছিলো না ভোক্তাদের জন্য। তবে শীত আসায় সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে সবজির বাজার।

এ বছরে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে দুই-তিন টাকা করে বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো, বেড়েছে লবণের দাম। শেষ দিকে এসে দাম কমে ব্রয়লার মুরগির ডিমের। ৩২-৩৪ টাকা দামের ডিমের প্রতি হালির দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৬ টাকায়, যা বেশ আলোচনায় ছিল।

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- আই-নিউজ২৪.কম
এই খবরটি মোট ( 5242 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends