সময়ের মূল্য অপরিসীম। আর এ সময় যদি কিছুটা বাঁচানো যায় তাহলে তা বহু কাজে লাগানো সম্ভব হয়।
বিশ্বের অত্যন্ত ধনী ব্যক্তিরা কিছু কৌশলে তাদের সময় বাঁচিয়ে সে সময়টি ভালো কোনো কাজে ব্যয় করেন। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু উপায়। বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে চলুন জেনে নেই সে বিষয়গুলো-
১. বিক্ষিপ্ততায় সময় নষ্ট
আপনি যদি বিক্ষিপ্তভাবে কাজ করেন তাহলে সময় নষ্ট হবে। আর তাই সর্বদা সময়টি কিভাবে ব্যয় করতে হবে তার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে হলে শুধু সে কাজটিতেই নিবদ্ধ থাকা উচিত। বিক্ষিপ্ততার একটি উদাহরণ হতে পারে ফেসবুক ফিড। যেখানে আপনি অসংখ্য বিষয়ের মাঝে নিজের সঠিক প্রয়োজনীয়তা ভুলে যেতে পারেন। আর এতে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের পানে ধাবিত হওয়া কঠিন হয়ে যায়।
বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। তিনি মানুষকে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি কাজের তালিকা করতে বলেন। এরপর তা থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বাছতে বলেন। তার পরামর্শ হলো এ পাঁচটি রেখে বাকি কাজগুলো সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করতে হবে। এতে জীবন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ধাবিত করা সম্ভব হবে।
২. লিখে রাখা
আপনার জীবনের লক্ষ্য লিখে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ লক্ষ্য যদি না থাকে তাহলে গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ গন্তব্যই যে ঠিক করা নেই। এক্ষেত্রে ‘দ্য সিক্রেট’ ও ‘নিউরোজিম’ বইয়ের লেখক জন অ্যাশারাফ বলেন, আপনার লক্ষ্যগুলো লিখে রাখতে হবে। আর আপনি যখনই তা লিখে রাখবেন তখন তা অনেকাংশে বাস্তব হয়ে উঠবে। এতে নিজের এনার্জি কোন স্থানে নিবদ্ধ করতে হবে, তা জেনে রাখা যাবে।
৩. অন্যদের দায়িত্ব দিন
আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হলেই যে সে প্রতিষ্ঠানের সব কাজ নিজে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। মানুষকে দায়িত্ব দিন। তারা যেন কাজটি করতে পারে তা নিজে করার দরকার নেই। এতে আপনি তাদের দায়িত্ব দিয়ে অন্য বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারবেন।
৪. মানুষের বদলে প্রযুক্তি
মানুষের কাজ সহজ করতে প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি সময় বাঁচাতেও অত্যন্ত কার্যকর। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এ বিষয়ে অটোমেশনের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। তিনি মনে করেন এটি কাজকে যেমন নিখুঁত করে তেমন সময়ও বাঁচায়।
৫. ব্যতিক্রম থেকে বিভ্রান্ত হবেন না
বিলিয়নেয়ার বা অত্যন্ত সফল ব্যক্তিরা প্রায়ই এমন সব কাজ করেন, যা অন্যদের বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে এ কাজগুলোর মধ্যে যা সময় বাঁচায় সেগুলোই মেনে চলা উচিত। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ব্যতিক্রম কখনোই নিয়ম হতে পারে না।