বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার সিদ্ধান্ত আদালতের, সরকারের নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সকালে ইডেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অসুস্থ আঁখি মনিকে দেখতে অর্থোপেডিক হাসপাতালে যান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত। এটা সরকারের কোনো বিষয় নয়। তার সাজা হলে উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট রয়েছে। তারপর রিভিউও রয়েছে।
খালেদা জিয়াকে বাধা দিয়ে ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনের ফসল ঘরে তুলতে চায়- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন মন্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা আসলে কখন যে কী বলে- এটা তারাই ভালো জানে। তাদের কেউ বলে, যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা নির্বাচনে যাবে। আবার কেউ বলে, খালেদা জিয়ার সাজা হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। তাদের কোন কথাটা সত্যি?
খালেদা জিয়ার মামলা বর্তমান সরকার করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দুর্নীতির মামলা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিএনসিসি নির্বাচনে বিএনপির প্রস্তুতি নেই, সে কারণে তারা বিভিন্ন কথা বলছে। নিয়ম-নীতির উপেক্ষা করে নির্বাচন শুরু করে দেয়ার জন্য উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তোড়জোড় নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী কেউ মারা গেলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করতে হয়। নির্বাচন কমিশন নিয়মানুযায়ী আসন শূন্য ঘোষণা করেছে, এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করছে না। নির্বাচন কমিশন নিয়মানুযায়ী সব করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রত্যাবর্তনই চাইছে। তবে এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।