রবার্ট মুগাবে শাসনের অবসানের পর জিম্বাবুয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন এমারসন ম্যানানগাগওয়া।
শুক্রবারই তিনি দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সরকারি গণমাধ্যম।এর আগে বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপনে থাকা ম্যানানগাগওয়া রাজধানী হারারেতে ফিরে আসেন।এ সময় সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সেবক হওয়ার অঙ্গীকার করছি। আমি সব দেশপ্রেমিক জিম্বাবুইয়ানকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দেয়ার পাশাপাশি সবার কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানান ম্যানানগাগওয়া।তিনি বলেন, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এখানে কেউই কারো চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নন। আমাদের পরিচয় আমরা জিম্বাবুয়ের নাগরিক।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাই, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা চাই- কাজ, কাজ এবং কাজ।
ম্যানানগাগওয়ার বেকারত্ব অবসানের এই ঘোষণায় জানু-পিএফ পার্টির সদর দফতরের সামনে উল্লাসে ফেটে পড়েন জনতা। ধারণা করা হয়, দেশটিতে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কর্মহীন।
সাবেক এ ভাইস প্রেসিডেন্ট শুক্রবারই রবার্ট মুগাবের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি টেলিভিশন।
ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ পার্টির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী নতুন এই নেতা ২০১৮ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকছেন।
মুগাবে এমারসন ম্যানানগাগওয়াকে পদচ্যুত করলে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
মুগাবের ৩৭ বছরের শাসনের অবসান হলে দেশে ফেরার আগে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট দেখা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সঙ্গে।তার বক্তৃতায় ম্যানানগাগওয়া ধন্যবাদ জানান জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনীকে।
একই সঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার পার্শ্ববর্তী দেশ, আফ্রিকান কমিউনিটি এবং বহির্বিশ্বের সহায়তার প্রয়োজনের কথাও জানান।