বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১

আন্তরজাতিক রাজনীতি

14-12-2016 09:42:57 PM

চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সময় যুদ্ধ

newsImg

দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানার বিরোধকে কেন্দ্র করে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত’ বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের প্রধান।
বিশ্বের দুই প্রধান পরাশক্তির মধ্যে তীব্রতর উত্তেজনা চলাকালেই বুধবার যুদ্ধের এ হুমকি দেয়া হলো। খবর রয়টার্সের।নানা প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে প্রতি বছর পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। এই সাগরের বেশিরভাগেরই মালিকানা দাবি করে আসছে। তবে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও এ সাগরের মালিকানা দাবি করছে।চলতি বছরে দি হেগের আরব্রিট্রেশন আদালত কৌশলগত এ নৌপথের মালিকানা নিয়ে চীনের দাবিকে খারিজ করে রায় দেয়। তবে এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করে চীন। দেশটি দক্ষিণ চীনের দখল বাজায় রাখতে সেখানে সামরিক দ্বীপ নির্মাণসহ কড়া অবস্থান গড়ে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে চীনকে আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।বুধবার সিডনিতে দেয়া এক বক্তৃতায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি হারিস বলেন, বেইজিং আক্রমণাত্মক আচরণ করে আসছে, যার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিমভাবে তৈরি দ্বীপে যতই ঘাঁটি তৈরি করা হোক না কেন আমরা কোনো যৌথ মালিকানাধীন কোনো এলাকাকে এক তরফাভাবে অবরুদ্ধ করতে কাউকে অনুমতি দেব না। আমরা যতদূর পারি সহযোগিতা করে যাব। কিন্তু যখনই প্রয়োজন হবে তখনই মোকাবেলা (যুদ্ধ) করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।মার্কিন অ্যাডমিরালের এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বিরোধ উস্কে দিতে ইন্ধন যোগাবে। এরইমধ্যে গত ২ ডিসেম্বর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই পরাশক্তির বিরোধকে তরান্বিত করেছেন। এই ফোনালাপ নিয়ে এরইমধ্যে বেইজিং কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে, গত তিন বছরে বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে তিন হাজার ২০০ একরেরও বেশি জায়গায় সাতটি দ্বীপ তৈরি করেছে যেখানে বিমান চলাচলের রানওয়ে, বন্দর, অ্যায়ারক্রাফট হ্যাংগার এবং যোগাযোগের রাডার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক মিত্রদেশগুলোকে নিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে ধারাবাহিক নৌমহড়া চালাচ্ছে। এই মহড়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় বেইজিং। গত জুলাই মাসে সিনিয়র চীনা সামরিক কর্মকর্তারা এ ধরনের মহড়া বিপদ ডেকে আনবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেন।তবে চীনের হুমকির মুখে ওই অঞ্চলের অন্যদেশগুলো মহড়ায় অংশ না নিলেও যুক্তরাষ্ট্র অনুশীলন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়ছে। গত অক্টোবরে সর্বশেষ মহড়া চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।সিডনিতে দেয়া বক্তৃতায় হ্যারিস বলেন, মার্কিন জোটের হয়ে নৌমহড়ায় অংশ নেবে কি না তা অস্ট্রেলীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে যুক্তরাষ্ট্র অনুশীলন অব্যাহত রাখবে।

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- আই-নিউজ২৪.কম
এই খবরটি মোট ( 2440 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends