24-01-2018 05:38:55 PM
প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে সিলেটের পাথর সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এবারও সারাদেশে সরবরাহের লক্ষ্যে বোমা মেশিন ছাড়াই সনাতন পদ্ধতিতে (হাতে উত্তোলন) জাফলংয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পাথর তুলে মজুদ করা হয়। কিন্তু পিয়াইন নদীর লামাপুঞ্জি থেকে উত্তোলিত পাথর পারাপার করার কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন অন্ত্মত পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, পাথরের মৌসুমকে কেন্দ্র করে সিলেটে প্রতি বছরই হাজারো পাথর ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণ নিয়ে এ ব্যবসায় নেমে পড়েন। এখানকার পাথর পরিবহনের জন্য শত শত ট্রাক কিস্ত্মিতে কিনেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত্ম সিলেটে পাথর ব্যবসার মৌসুম। এ বছরও মূলধারার পাথর ব্যবসায়ীরা হাতে তুলে লামাপুঞ্জি এলাকায় পাথরের স্ত্মূপ গড়ে তুলেছেন। কিন্তু পিয়াইন নদী পারাপারে সুব্যবস্থা না থাকায় পাথরগুলো সেখানেই আটকে পড়ে আছে। বর্ষার আগে পাথর পরিবহন করাতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত্ম হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে জাফলং বলস্নাঘাট পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, প্রতি বছরই তারা হাতে তুলে পাথর মজুদ করেন। এবারও সমিতির ৪৪০ জন ব্যবসায়ী পাথর মজুদ করেছেন। কিন্তু পাথর পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পথে বসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একইভাবে সমিতির বাইরে আরও পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ ব্যবসায় নেমেছেন। তারা চরম হতাশায় রয়েছেন।
এদিকে, গোয়াইনঘাট ট্রাকশ্রমিক শাখার সভাপতি মো. ফয়জুল ইসলাম বলেন, সিলেটের পাথর ট্রাকশ্রমিকরা সারাদেশে পৌঁছে দেন। কিন্তু এবার পাথর আটকা পড়ায় অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গোয়াইনঘাট ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বক্স বলেন, 'পাথর মৌসুমে আমাদের ট্রাকগুলো ভালো ট্রিপ দিয়ে অর্থ উপার্জন করে। সে কারণে অনেক ট্রাক মালিক কিস্ত্মিতে ট্রাক কিনেছেন। কিন্তু পাথর নদীর ওপার থেকে পার না হওয়ার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে ট্রাক মালিকরা।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, 'ব্যবসায়ীরা পাথর পারাপারের জন্য নিজস্ব উদ্যোগ নিলে আমরা সাধুবাদ জানাব। তবে এ রকম কোনো উদ্যোগ নিলে তাদের অবশ্যই কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।