21-01-2018 01:15:30 PM
নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে থাকা কদম মোবারক বাই লেইনে রাস্তার ওপর ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকা এখন নিত্যদিনের দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই লেইনের ভিতরে রয়েছে তিনটি দৈনিক পত্রিকার অফিস, আছে কিছু প্রকাশনা সংস্থার প্রায় অর্ধশতাধিক প্রেস, বিভিন্ন সংগঠন কার্যালয়, বাণিজ্যিক ভবনসহ আবাসিক ভবন। এ কারণে লেইনটির গুরুত্বও কম নয়। নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের পদচারণায় সকাল-রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে লেইনটি।
তবে লেইনটির গুরুত্ব অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার চিত্র খুবই নগণ্য। প্রতিদিন রাস্তার ওপর পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শত শত মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। লেইনটির মাত্র একশ গজ দূরেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অবস্থান। তবে এ দুরাবস্থার কথা একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু দৃশ্যপট এখনো অপরিবর্তিত। দিন দিন আরও অবনতি হচ্ছে।
অথচ বিপরীত চিত্র ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের। ওয়ার্ডটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সবুজে সাজিয়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এখন প্রশ্ন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কদম মোবারক লেইনটির দৃশ্যপট এমন কেন?
গতকাল সরেজমিন সকাল ১১টায় লেইনটিতে ঢুকতেই চোখে পড়ে কদম মোবারক মসজিদের গেইটের সামনে স্তূপ হয়ে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। এর আগে রয়েছে দুটি দৈনিক পত্রিকার স্ট্যান্ড। সেখানে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়তে ব্যস্ত পাঠকরা। কেউ নাকে হাত দিয়ে পত্রিকা পড়ছেন, কেউ মাঝে মাঝে থু থু ফেলে আবার পত্রিকা দেখছেন। আর কর্মব্যস্ত মানুষেরা ছুটে চলছেন এই ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়েই।
কথা হয় পত্রিকা পড়তে আসা সাইফুল হকের সাথে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়তে আসলে এ দৃশ্য দেখতে হয়। এখানে সংবাদপত্রের অফিসসহ প্রেস ও সংগঠনের বিভিন্ন কার্যালয় রয়েছে। কিন্তু লেইনটি যতটুকু গুরুত্ব পাওয়ার কথা সেটা পায়নি। স্থানীয় কাউন্সিলরের নজর দেওয়া উচিত।’
সাইফুল হকের কথার সাথে পত্রিকা পড়তে আসা আরেকজন পাঠক মো. নবীও বললেন একই কথা।
লেইনটির বাসিন্দারা জানান, ডোর টু ডোর কার্যক্রম আছে, আছে বিনও। তবে সেটি কাগজে-কলমে বাস্তবে নেই। ময়লা সংগ্রহণকারী একদিন আসেন তো দু’দিন আসেন না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই অনেকে ময়লা-আবর্জনা রাস্তার ওপর ফেলেন। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারেরও নির্দিষ্ট সময় নেই। খেয়াল খুশি মত। এ কারণে প্রতিদিনই সকাল-রাত পর্যন্ত পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এখানে স্থানীয় কাউন্সিলরের নজরদারির যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী সুপ্রভাতকে বলেন, ‘লেইনটি থেকে প্রতিদিন ২ বার ময়লা-আবর্জনা নেওয়া হয়। এ নিয়ে আমি এলাকায় ৩-৪ বার সভা করেছি সবার সাথে। দেখাশোনার জন্য একজন দারোয়ানও রাখা হয়েছে। লেইনের সকলকে বিন দেওয়া হয়েছে এবং ডোর টু ডোর কার্যক্রমও চালু রয়েছে। কিন্তু জামালখান ওয়ার্ডের আশপাশের সব ডাস্টবিন তুলে দেওয়ার কারণে ঐ এলাকার মানুষেরা এই লেইনটিতে এসে ময়লা আবর্জনা ফেলছে বেশি। কাজেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে এলাকার মানুষদের সচেতন হতে হবে। তাহলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে।’