বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১

স্বাস্থ্য কথা

25-10-2017 02:35:51 PM

গলার ব্যথা?

newsImg

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ হওয়ার পূর্ব লক্ষণ হিসেবে গলা ব্যথা করে। গলা ব্যথার অপর নাম হলো ফ্যারিঞ্জাইটিস। সাধারণত ঠান্ডা এবং ফ্লুর (ইনফ্লুয়েঞ্জা) মতো জীবাণুর সংক্রমণের মাধ্যমে গলার এই সমস্যা হয়। গলায় শুষ্ক চুলকানি হয় এবং খাবার গিলতে ও ঢোঁক গিলতে সমস্যা হয়। গলা ব্যথাকে অনেকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। গলা ব্যথা অনেক সময় মারাত্মক অসুখের উপসর্গের কারণ হতে পারে।

এ বিষয়ে জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মাহামুদুল হাসান বলেন, গলা ব্যথা হলে সাধারণত গলা খসখসে হয়, চুলকায় এবং ফুলে যায়, শ্বাস নেওয়ার সময়, কথা বলার সময় এবং ঢোঁক গিলার সময় ব্যথা অনুভূত হয়। ঠান্ডার কারণে গলা ব্যথা হলে এর পাশাপাশি কাশি, জ্বর, সর্দি, হাঁচি এবং শরীরে ব্যথা হয়। গলা ব্যথা একটু মারাত্মক আকার ধারণ করলে, টনসিল ফুলে গিয়ে খাবার গিলতে বা ঢোঁক গিলতে অসুবিধা হয়।

সাধারণ গলা ব্যথায় চিকিৎসা
১. লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর পদ্ধতি। দিনে অন্তত ৪ বার লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করা। গলার সাধারণ ব্যথা বা গলা ভাঙার জন্য ভালো একটি ওষুধ হলো গরম বাষ্প। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তবে গলার উপকার হয়।
২. ভাঙা গলায় হালকা গরম লেবু পানি, আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।
তবে এমন সব চিকিৎসাও অনেক সময় কাজে দেয় না। দিনের পর দিন ধরে গলার ব্যথা ও স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না। স্বর বদলে যায়। ফ্যাসফ্যাসে আওয়াজ হয়। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কাদের গলা ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
* শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা
* যারা ধূমপান করে অথবা ধূমপায়ী ব্যক্তির কাছাকাছি থাকে
* ধুলাবালু থেকে যাদের অ্যালার্জি হয়
* ঘরে ব্যবহৃত জ্বালানি ও রাসায়নিক বস্তুর সংস্পর্শে এলে
* যাদের দীর্ঘদিন ধরে সাইনাসের সমস্যা আছে
* যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম

গলা ব্যথা থেকে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে?
গলা ব্যথার ফলে অনেক মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে টনসিলে প্রদাহ, সাইনাসে প্রদাহ, কানের সংক্রমণ, কিডনির প্রদাহ, বাতজ্বর দেখা দিতে পারে।

পরামর্শ
* উষ্ণ, আরামদায়ক, স্যাঁতসেঁতে নয় এ রকম ঘরে থাকতে হবে
* আক্রান্তকালীন কথা কম বলতে হবে। এ সময় প্রচুর তরল খাবার যেমন পানি, ফলের রস, গরম চা গ্রহণ করতে হবে
* সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে বিশ্রাম নিতে হবে। হাঁচি ও কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখতে হবে। এর ফলে অন্যরা সংক্রমিত হবে না
* ধোঁয়া এবং বায়ু দূষিত করে এমন কিছু থেকে দূরে থাকতে হবে
* বাড়ির বাতাস শুষ্ক হলে তা আর্দ্র রাখার ব্যবস্থা করতে হবে
* ধূমপান এবং ধূমপানের ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশ থেকে দূরে থাকতে হবে

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- Fatema akter anni
এই খবরটি মোট ( 5459 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends