07-12-2016 10:08:01 AM
ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার স্থানান্তরে অনিয়ম করা হয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির তদন্তে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক শামসুল আবেদীন আকন্দের ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার একক হিসাব হতে যৌথ হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগ প্রমানিত হওয়া জরিমানার কবলে পড়েছে কোম্পানিটি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৯২ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।জানা যায়, তদন্ত চলাকালীন সময়ে তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যাদি প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)কে সতর্কপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আবার, কোম্পানি কর্তৃক তদন্ত কমিটিকে অসত্য তথ্য প্রদানের কারণে ও বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রদান করায় ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-কে ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে ওই তদন্ত চলাকালে তদন্ত কমিটিকে সহায়তা না করায় কোম্পানির স্পন্সর মিস. খালেদা আকন্দকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই সাথে ভিকটিম শামছুল আবেদীন আকন্দ-কে প্রাপ্য শেয়ার ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিএসইসি’র মুখোপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।ডিএসই’কে সতর্কের বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ২০০৮ সালে যথাযথ আইন পরিপালন না করে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর স্পন্সর শামসুল আবেদীন আকন্দ এর ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার তার একক হিসাব হতে যৌথ হিসাবে স্থানান্তরের বিষয়টি অনুমোদন করে তৎকালীন লিস্টিং রেগুলেশন অব দি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর রেগুলেশন ৪(২) ভঙ্গ করেছে। এছাড়াও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এ বিষয়ে তদন্ত চলাকালে তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যাদি প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ২১(২) ভঙ্গ করেছে। এসব সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় কমিশন আজকের সভায় স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ-কে সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছঅন্যদিকে, ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর স্পন্সর শামছুল আবেদীন আকন্দের ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার তার একক হিসাব হতে যৌথ হিসাবে স্থানান্তর বিষয়ে তদন্ত চলাকালে কোম্পানি কর্তৃক তদন্ত কমিটিকে অসত্য তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ ভঙ্গ করেছে। এছাড়াও এ বিষয়ে তদন্ত চলাকালে তদন্ত কমিটিকে বিভিন্ন সময়ে একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রদান করে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ২১(২) ভঙ্গ করেছে। এসব সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় কমিশন আজকের সভায় ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-কে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করার সিদ্ধান্ত গহণ করেছে।আবার, ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর স্পন্সর জনাব শামছুল আবেদীন আকন্দ এর ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার তার একক হিসাব হতে যৌথ হিসাবে স্থানান্তর বিষয়ে তদন্ত চলাকালে তদন্ত কমিটিকে সহায়তা না করে মিস. খালেদা আকন্দ (স্পন্সর) সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ২১(২) ভঙ্গ করেছে। এ আইন ভঙ্গ করায় কমিশন আজকের সভায় মিস. খালেদা আকন্দ-কে ১ (এক) লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।ভিকটিমের শেয়ার ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে বলা আছে, ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর স্পন্সর শামছুল আবেদীন আকন্দ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং যথাযথ তদন্ত ও শুনানী শেষে ২১ হাজার ৫০০টি (পূর্বের ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার যা বর্তমানে অর্থাৎ ৩১/১০/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৭৮টি শেয়ার) শেয়ার তার একক হিসাব হতে যৌথ হিসাবে স্থানান্তরের বিষয়টি বিধিসম্মত হওয়ায় ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর স্পন্সর শামছুল আবেদীন আকন্দ এর ২১ হাজার ৫০০টি (পূর্বের ২১ হাজার ৫০০টি শেয়ার যা বর্তমানে অর্থাৎ ৩১/১০/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৭৮টি শেয়ার) শেয়ার তার একক হিসাবে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ২০(এ) এর অধীনে নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।