04-12-2016 04:34:36 PM
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নভেম্বর (২০১৬) মাসে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর কারণ হিসেবে ডিবিএ নির্বাচন, জুন ক্লোজিংয়ের পর নতুন বছরের জন্য প্রস্তুতি এবং বিনিয়োগবান্ধব প্রাইস আর্নিং রেশিও’কে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর ২০১৬ বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, যা ৩০ নভেম্বর ২০১৬তে এসে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৮১ কোটি ৪০ লাখ ২৬ হাজার টাকায়। সেই হিসেবে এ মাসে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ১২৯ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা।এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন বাজার সংশ্লিষ্টের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ডিবিএ’র নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার কম। ২০ নভেম্বর ডিবিএ নির্বাচন হয় আর ২১ নভেম্বর তার ফলাফল বাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে ছড়িয়ে যায়। যার ফলে বাজার মূলধন ২২ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার ওপরে অবস্থান করছে।তাছাড়া অনেকে মনে করছেন জুন ক্লোজিংয়ের পর কোম্পানিগুলো প্রথম প্রান্তিক প্রকাশের পরপরই বাজারে আবার ইন্টারিম বা নতুন একটা অর্থ বছরের প্রতি আগ্রহ তৈরী হয়। ডিএসই’তে বিনিয়োগবান্ধব প্রাইস আর্নিং রেশিও (পিই) থাকায় বাজারে নতুন টাকা আসছে, ফলে বাড়ছে বাজার মূলধন।নভেম্বর মাসের মধ্যে ১ নভেম্বর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা, ২ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৬ হাজার কোটি, ৩ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি, ৬ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি, ৭ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি, ৮ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার কোটি, ৯ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি, ১০ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি, ১৩ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি, ১৪ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৬ হাজার কোটি, ১৫ নভেম্বর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।১৬ নভেম্বর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি, ১৭ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি, ২০ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার কোটি, ২১ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার কোটি, ২২ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার কোটি, ২৩ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার কোটি, ২৪ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি, ২৭ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি, ২৮ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি, ২৯ নভেম্বর ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি এবং ৩০ নভেম্বর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা।