03-12-2016 04:09:50 PM
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর দুই পাড়ের ২১১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে রসুলপুর চরে গিয়ে বস্তিবাসীর প্রতিরোধের মুখে ফিরে এসেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। শনিবার সকালে উচ্ছেদ করতে গেলে রসুলপুর চরবাসী অগ্নিমূর্তি ধারণ করে। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার জন্য বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথম দিনের উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।
নদীর দুই তীরের ওই অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে কীর্তনখোলাকে প্রবহমান রাখতে গত ২২ আগস্ট একটি নির্দেশনা দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের যৌথ বেঞ্চ। আজ সকালে জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩০ জন পুলিশ ফোর্স ও উচ্ছেদ কর্মী নিয়ে রসুলপুর চরে যায় বরিশাল জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। কিন্তু চরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা পড়েন তীব্র প্রতিরোধের মুখে।বস্তিবাসী উচ্ছেদকারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন তারা। ঘেরাও করে রাখেন অন্যান্যদের। বস্তিবাসীরা তাদের পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ শুরুর দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘ বিক্ষোভে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ১১ জন নারী। তীব্র প্রতিরোধের এক পর্যায়ে পুলিশ, প্রশাসন এবং বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা উচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করে ফিরে যেতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে, বস্তিবাসীর সাথে কথা বলে তাদের সহযোগিতা নিয়েই পরবর্তীতে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।