21-08-2016 02:52:10 PM
রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকায় নির্মিত দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সুবিশাল ‘ডিএসই টাওয়ারে’ ন্যূনতম সেবামাশুলে ৫০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহারের সুযোগ চান সংস্থাটির সদস্যরা।
সদস্যদের দাবি, শুধু সেবা বাবদ যত খরচ, তত টাকার বিনিময়ে ভবনে বরাদ্দপ্রাপ্ত সদস্যদের ৫০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হোক। এ বিষয়ে সব সদস্য তথা ব্রোকারেজ হাউস মালিকেরা একমত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মত এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে ব্রোকারদের এ প্রস্তাব গ্রহণ বা বর্জনের বিষয়টি নির্ভর করছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের ওপর।
এর আগে নিকুঞ্জ এলাকার (হোটেল লা-মেরিডিয়ান-সংলগ্ন) ১৩ তলা এই ভবনটির বিভিন্ন আয়তনের জায়গা নামমাত্র মূল্যে সদস্যদের মাঝে একেবারে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন আয়তনের জায়গা (স্পেস) সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। প্রভাবশালী সদস্যরা বেশি জায়গা বরাদ্দ পান। কিন্তু ২০১৩ সালে ডিএসইর মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) করতে গিয়ে ভবনটির মালিকানা ভাগ-বাঁটোয়ারার উদ্যোগটি আইনগতভাবে বাতিল হয়ে যায়। ফলে এখন তা ভাড়া চুক্তিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ নিকুঞ্জ ভবনের প্রতি বর্গফুটের জন্য ১০০ টাকা ভাড়া ও ৫০ টাকা সেবামাশুল নির্ধারণ করে। কিন্তু বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্য এ ভাড়া ও মাশুল নিয়ে আপত্তি তোলায় গত সপ্তাহে চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক প্রথম আলোকে বলেন, ডিএসই কর্তৃপক্ষ যে ভাড়া ও সেবামাশুল প্রস্তাব করেছে, তাতে অধিকাংশ সদস্যের পক্ষে ওই ভবনে কার্যালয় করা সম্ভব হবে না। এ কারণে বেশির ভাগ সদস্য চান ৫০০ বর্গফুট জায়গা শুধু সেবামাশুলে (যা খরচ তাই) ব্যবহারের সুযোগ চান। এর বাইরে যাঁরা বাড়তি জায়গা ব্যবহার করবেন, তার জন্য বাণিজ্যিক হারে ভাড়া পরিশোধ করবেন।
মোস্তাক আহমেদ সাদেক আরও বলেন, ব্রোকারদের সর্বসম্মত মতামতের বিষয়টি নিয়ে শিগগির ডিএসইর পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ডিএসইর ব্রোকারদের নিয়ে গতকাল যে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়, তাতে সংস্থাটির শেয়ারধারী চার পরিচালকও উপস্থিত ছিলেন।