29-03-2016 11:29:16 AM
ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিবুল গণি গালিবকে কারাগারে পাঠিয়েছে দূনীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিকে, একই সময় দুদকের অভিযানে আরো ৩ জনকে গেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
অভিযানে গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- এশিয়ান শিপিং বিডি প্রোপ্রাইটর মো. আকবর হোসেন, ফারশি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়েজুন নবী চৌধুরী এবং বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ইকরামুল বারী।
জানা যায়, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আসামি ধরতে রোববার রাত থেকে গতকাল সোমবার ভোর পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ অভিযানে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটির বিশেষ টিম।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্তির মধ্যে দিয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এক যোগে লেনদেন শুরু করে এমারেন্ড অয়েল লিমিটেড। ওই সময় আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ২০ কোটি টাকার ১২ কোটি টাকা কোম্পানিটির ঋণ পরিশোধের কথা ছিল।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এমারেল্ড গ্রুপের মোট ৫টি প্রতিষ্ঠানের ২০৬ কোটি টাকা আত্মসাতে ধানমন্ডি ও মতিঝিল থানায় ২০১৫ সালের আগষ্টে মোট ৫টি মামলা করে দুদক। কোম্পানিগুলো হলো- এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এমারেল্ড ড্রেস লিমিটেড, এমারেল্ড স্পেশালিষ্ট লিমিটেড, বয়েস এন্টার প্রাইজ লিমিটেড এবং এমারেল্ড অটো ব্রিকস লিমিটেড। এর মধ্যে এমারেল্ড অয়েলের নামে ৭৪ কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ করেছে দুদক।
এতে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যতিত মামলায় আসামী করা হয়েছে কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ মনোয়ারুল ইসলাম, পরিচালক এ.এস.এম. মনিরুল ইসলাম, সজন কুমার বসাক, অমিতাভ ভৌমিক, বেসিক ব্যাংকের দিশাখুশা শাখার সাবেক প্রধান গোলাম ফারুক খান, সাবেক ক্রেডিট ইনচার্জ পলাশ দাশ গুপ্ত, অরিতিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মঞ্জুর মোরশেদ ও ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম. সাজেদুর রহমান।
সূত্র জানায়, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির আসামিরা দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন।আসামিদের কেউ যেন বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে সংস্থাটি।
কিন্তু কয়েকজন আসামি গ্রেফতার এড়াতে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন-এমন তথ্যের ভিত্তিতে দুদক সতর্ক অবস্থান নেয়। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত আসামিরা কারাগারে।
প্রসঙ্গত, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে গত বছরের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর এ তিন দিনে ৫৬টি মামলা করেছেন দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্যরা। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় এসব মামলা দায়ের করে দুদক। ৫৬টি মামলায় মোট আসামি ১২০জন। মামলাগুলোতে মোট ২ হাজার ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ৯৪ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিক। ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলায় আসামি।