02-03-2016 03:29:27 pm
সুপার টিউসডে’তে মার্কিন মুলুকে একদিনেই হলো ১২টি রাজ্যের প্রাথমিক ভোট। সব রাজ্যের ভোটের ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭টি রাজ্যে জয়ী হয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। অন্যদিকে ৬টি রাজ্যে জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা না পেলেও ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ক্রুজ বলেছেন, বিতর্কিত ট্রাম্পকে রুখতে তিনিই একমাত্র ভরসা। কারণ একমাত্র তারই যোগ্যতা আছে মার্কিন এই ধনকুবেরকে পরাজিত করার। খবর এএফপি।
প্রাইমারি ভোটের ফল কিন্তু টেড ক্রুজের এ দাবিকে যৌক্তিক হিসেবে উপস্থাপন করছে না। সুপার টিউসডে’তে বড় জয়ের পথে রয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জয় পেয়েছেন অ্যালাবামা, আরকানসাস, জর্জিয়া, ম্যাসাচুসেটস, টেনেসি, ভারমন্ট এবং ভার্জিনিয়াতে। টেক্সাসে জয় পেয়েছেন সেখানকার সিনেটর টেড ক্রুজ। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ওকলাহোমাতেও জয়ী হয়েছেন তিনি।
এসব হিসাব মাথায় রাখছেন ক্রুজও। তিনি মূলত তুলে ধরতে চাইছেন ট্রাম্পের বিতর্কিত আচরণকে। ক্রুজের মতে, এগুলো রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে বিভেদের দেয়াল তুলছে। এই প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই সমর্থকদের সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ‘রিপাবলিকান দলের মধ্যে এই বিভেদ যতো তীব্র হবে, ট্রাম্পের জয়ের পথও ততো মসৃণ হবে। কিন্তু এটি দলের জন্য একটি বিধ্বংসী প্রক্রিয়া। একইসাথে রক্ষণশীলদের জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এটি বিপর্যয় ডেকে আনবে’, বলেন ক্রুজ।
মঙ্গলবার দেয়া এই ভাষণে টেড ক্রুজ আরো বলেন, ‘আজকের পর থেকে আমাদের একটিই লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেটি হলো, কিভাবে ট্রাম্পকে ঠেকানো যায়। তাই মনোনয়নের দৌড়ে বাদবাকি যারা আছেন তাদের ঐকবদ্ধ হতে হবে। ট্রাম্পকে ঠেকানোর জন্যই এই একতা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা ট্রাম্পকে রুখতে পারে। এই সত্যটি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। আমি সকলের সমর্থন চাইছি। কেননা এটিই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রোখার একমাত্র উপায়।’
তবে প্রাথমিক ভোটের ফল ঘোষণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে ‘ঐক্যের দূত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার কারণে রিপাবলিকান পার্টির ঐক্যে ভাঙনের সূচনা হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও তিনি নাকচ করে দেন।
আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপার টিউসডে’তে অধিকাংশ রাজ্যে জয় পেয়ে ট্রাম্প নিজ দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের আরো ৩৫টি রাজ্যের প্রাইমারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী চূড়ান্ত হবে।