01-06-2015 04:35:33 PM
গনতন্ত্রের কবরের পর একনায়কতন্ত্র এখন প্রেগন্যান্ট।
১/১১ এর পর থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত গনতন্ত্র,অনেক চিকিৎসা করানোর পর ডাঃ বলিল থেরাপি দেয়া শেষ হলে বলা যাবে কি অবস্থা।অনেক নাজুক অবস্থায় এই ডাঃ ওই ডাঃ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৯/১২/২০০৮ইং সনে আই সি ও তে ট্রান্সফার করা হলো গনতন্ত্রকে।
শুরু হলো সংবিধান সংশোধন,এক পর্যায় সংশোধন করা হলো,ডাঃ সাহেব রিপোর্ট ভাল দেওয়াতে সংসদের সম্মানিত সদস্যরা সংশোধন করিল বিসমিল্লাহ উঠাইয়া ধর্মনিরেপক্ষ দেশ কইরা ৭৫ সংবিধান কায়েম করা হলো এর মাঝে গনতন্ত্রকে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ক্যামোথেরাপী দেওয়া শুরু হয়েছে।
আমার নেতা তোমার নেতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা সুষ্ঠ বিচার সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশ কলংক মুক্ত করা হল, স্বাধীনতা আর গনতন্ত্র একটু সুস্থ হওয়ার পথে।
হঠাৎ করেই হিন্দি অহি নাজিল হইল ৭১এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে,শুরু হলো শাহাবাগীদের গনতান্ত্রিক ধর্ষন,হাসপাতাল (শুশীল সমাজ) গুলো গনতন্ত্র বাচানোর জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ইসলামপ্রীয় নেতাদের একের পর এক এরেষ্ট করে ১৪ শিকের ঘরে ঢুকিয়ে সাজানো নাটকের শেষ পর্যায় পুর্ন্যদৈর্ঘ বাংলাছবি দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল ছবির সুটিং, হঠাৎ করেই মতিঝিলের হেফাজতি হামলা, ডাঃ বলিল গনতন্ত্র একটু সুস্থ আছে, তাকে নরমাল বেডে নেওয়া হলো।
বিপদে পড়ল জামায়াত শিবির একের পর এক নেতাদের ফাসির অর্ডারে সারা দেশের গনতন্ত্রে ক্যান্সার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া শুরু হলো। গনতন্ত্র
উদ্ধারে লীগ,পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ডাঃ বোর্ড বসে কোন রকমে গনতন্ত্রকে সামাল দিল।
বিএনপির বিদেশী নেতাদের আস্বাশে অনেকটাই আসাবাদী হইয়া জাতীয়তাবাদী গনতন্ত্র কে বাচানোর জন্য উন্নত চিকিৎসার লক্ষে নামিদামী হাসপপাতালে ট্রান্সফার করানো হল।
এ কি যখনি গনতন্ত্র একটু সুস্থ অবস্থা তখনি শুরু হলো দেশব্যাপী বিশ দলের নেতাদের গনহারে গ্রেপ্তার,জেলখানায় জায়গা নেই এমন এক অবস্থায় গনতন্ত্র চিকিৎসার টাকার অভাবে আবার ঢাকা মেডিকেল।
অবস্থা সচোনীয়,বিএনপি বালুর ট্রাকে বন্দী,জামায়াত শিবির জেলখানায়,অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নিজেকে হেফাজতে ব্যাস্ত,গনতন্ত্র ঢাকা মেডিকেলের আই সি ও তে।তাকে দেখার কেও নেই।
প্রশাষন ব্যাস্ত দলীয়করন নিয়ে,আওয়ামিলীগ এর ইমাম সাহেব বিসিএস ক্যাডার কনফার্ম করছে। দলীয়করণ হচ্ছে পুলিশ,র্যাব,বিজিবি,ম্যাজিস্ট্রেট,বিচারপতি ইত্যাদি শাখা।
এ দিকে গনতন্ত্রের কাহিল অবস্থা।মাঠে কেও নেই খালি মাঠে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার দল,বিএনপি জামায়াত কোনঠাশা,তারা নারাজ গনতন্ত্র কে এই অবস্থায় রেখে নতুন নির্বাচনে যাবে না।
অনেক কষ্ট করেও শেষ পর্যন্ত গনতন্ত্র কে বাঁচানো গেলো না ৫ জানুয়ার রাতেই সে ইন্তিকাল করেছে।
এর মাঝে সুখবর হলো গনতন্ত্রের কবরের পর একনায়কতন্ত্র এখন প্রেগন্যান্ট।
লেখক মু আতিকুর রহমান