06-12-2016 11:13:16 AM
প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদাগ্রহণ শুরু হবে। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অভিহিত মূল্যে সাড়ে সাত কোটি শেয়ার ইস্যু করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি।প্রাথমিক শেয়ারের লট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ শেয়ারে। অর্থাত্ একজন বিনিয়োগকারীকে আইপিও আবেদনের সঙ্গে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে।প্রসপেক্টাস অনুসারে, শেয়ারবাজার থেকে সংগৃহীত ৭৫ কোটি টাকা কোম্পানিটি আংশিক ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যয় করবে। সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ২৫ কোটি টাকায় দুটি ব্যাংক ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধ করবে। ব্যবসা সম্প্রসারণে ৪৭ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। বাকি অর্থ ব্যয় হবে আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ মেটাতে। আইপিওর অর্থ পাওয়ার দুই বছরের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজ শেষ করবে কোম্পানিটি।প্যাসিফিক ডেনিমসের অনুমোদিত মূলধন ১২০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি টাকা, যা আইপিওর পর ১১৩ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। আইপিওর পর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে কোম্পানির ৩৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার থাকবে।২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা। আইপিও-পরবর্তী শেয়ার সংখ্যা বিবেচনায় নিলে তা নেমে আসবে ৮৮ পয়সায়।সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি কোম্পানির নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২২ টাকা ৫৯ পয়সা। পুনর্মূল্যায়নজনিত উদ্বৃত্ত বিবেচনায় নিলে তা ২৬ টাকা ৪৩ পয়সায় উন্নীত হয়।প্যাসিফিক ডেনিমসের খসড়া প্রসপেক্টাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১১ সালে কোম্পানির টার্নওভার ছিল ১৪১ কোটি টাকা, যা ২০১৫ সাল শেষে ১৬৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০১২ সালে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। চার বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।প্যাসিফিক ডেনিমসের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। নিরীক্ষক মাফেল হক অ্যান্ড কোং।