27-03-2016 09:42:47 PM
যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চালায়, নিজ ক্যাম্পাসে না গিয়ে একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তাদের জন্য আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি। আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় না চালাতে পারলে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) নিজস্ব ক্যাম্পাসে ১৭তম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে নাহিদ এ হুঁশিয়ারি দেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরও বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। তাঁরা সকলেই আমাদের সন্তান এবং জাতির ভবিষ্যৎ। সকলের জন্য আমরা মানসম্মত শিক্ষা এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই।’ তিনি দেশের বাস্তবতা ও আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান।
এ বছর সমাবর্তন বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘একটি পথে কখনো মানুষের অভিজ্ঞতা অর্জন হয় না। বিভিন্ন মত ও পথের সঙ্গে প্রতিনিয়ত তোমাকে সমঝোতা করে চলতে হতে পারে। হয়তো তুমি ভুল করবে। তবে নিরাশ হবে না। তুমি সফল হবেই। কিন্তু কাউকে মাথায় উঠতে দিয়ো না। ’
সমাবর্তনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রাশেদ চৌধুরী, উপাচার্য এম ওমর রহমান, সহউপাচার্য মিলান পাগন, আইইউবি’র এডুকেশন, সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের (ইএসটিসিডিটি) চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
১৭তম সমাবর্তনে ভ্যালিডিকটরিয়ান এবং একই সঙ্গে আচার্যের স্বর্ণপদক পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন ব্যবসায় অনুষদের ছাত্র মাহতাব ফাহিম। এ ছাড়া চারজন কৃতি শিক্ষার্থীকে বিশেষ পুরস্কার ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন—শিক্ষায় মাহতাব ফাহিম, সংস্কৃতিতে সাকিবা বিনতে আলী (তিনি অলরাউন্ডার সম্মাননাও পেয়েছেন), সমাজসেবায় সালমান আহমেদ এবং ক্রীড়ায় হিশাম রহমান। এ ছাড়া এমবিএতে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৪ অর্জন করায় জামিলা ইউসুফকেও বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
আইইউবির ১৭তম সমাবর্তনে ৯৫৪ জন স্নাতক এবং ৪৩৪ জন স্নাতকোত্তর অর্থাৎ এক হাজার ৩৮৮ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।