05-05-2015 04:13:18 PM
আইটি ডেস্ক
আউটসোর্সিং তথা ফ্রিল্যান্সিং শব্দের মূল অর্থ হল মুক্ত পেশা। অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয় করার পেশা। আর একটু সহজ ভাবে বললে, ইন্টারনেটের ব্যাবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসাসেবা ইত্যাদি। এ সব কাজ ইন্টারনেট ব্যাবস্থার মাধ্যমে করে দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের উন্নত ধরনের কাজ করারও ব্যাবস্থা আছে আউটসোর্সিং জগতে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে নানা পদ্ধতির মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে আয় করার সহজ উপায়ের নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। বাস্তবে কারিগরি দক্ষতা থাকলেও কেবল আউটসোর্সিং জগতে ভাল আয় করা সম্ভব। কোনপ্রকার দক্ষতা ছাড়া এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভাল জানাশোনা না থাকলে ধোকা খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই। তাই আগে কাজ করার জন্য নিজেকে তেরি করতে হবে, তারপর এই পেশায় আসতে হবে। তবে হ্যাঁ, যে কাজই জানেন,তা যদি মানুষের কাজে আসতে পারে বলে আপনার মনে হয়, মনে রাখবেন অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটুকু করেই আপনি আয় করতে পারেন। শুধু দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা, এবং যে কাজটুকু করবেন তা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা। আউটসোর্সিং কিভাবে করবেন ? আউটসোর্সিং যেহেতু মুক্ত পেশা, সেখানে আপনার জবাবদিহিতার চেয়ে আপনার কাজের জবাবদিহিতা বেশি। আপনার কাজ যদি সঠিক না হয়, আপনার কাজে যদি জবাবদিহিতা না থাকে, আপনি যদি কাজ করার ক্ষেত্রে মনযোগী না হন, আপনার কাজে যদি স্বচ্ছতা না থাকে তাহলে আপনি এই সেক্টরে সফল হতে পারবেন না। আউটসোর্সিং এ সবসময় আপনি নিজেকে দিয়ে মূল্যায়ন করবেন। অর্থাৎ আপনি নিজে যদি এই কাজটি (যে কাজটির জন্য আপনি মনোনিত হয়েছেন) অন্য কাউকে দিয়ে করাতেন তাহলে তার কাছ থেকে আপনি কি আশা করতেন, এবং অবশ্যই তার চেয়ে একটু বেশিই দেবার চেষ্টা করবেন। তাহলে যে আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে সেও খুশি থাকবে আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। কাজ পাবেন যেখানে : আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দেয়া হলো : http://www.odesk.com, http://www.freelancer.com, http://www.elance.com, http://www.getacoder.com, http://www.guru.com, http://www.vworker.com, http://www.scriptlance.com ইত্যাদি। আউটসোর্সিংয়ের আরও কিছু কাজের খবর : ১. অ্যামাজন ম্যাকানিকাল টার্ক অতিরিক্ত আয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অ্যামাজনের মেকানিকাল টার্ক বেশ ভালো একটি উপায় হতে পারে। এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ রয়েছে। এ জন্য আপনি পেতে পারেন কয়েক পেনি করে। এখানে কাজ করে হাত খরচের টাকা অনায়াশেই তোলা সম্ভব। ২. নিজস্ব সংগ্রহের ছবি বিক্রি : অনলাইনে আপনি নিজের সংগ্রহের ছবি বিক্রি করতে পারেন। এ ধরণের আরো অনেক সাইট রয়েছে। তবে নিজের সংগ্রহ অনলাইনে দেয়ার আগে কোন ধরণের ছবির চাহিদা ভালো সেটা যাচাই করে নিন। ছবি নিয়ে যারা কাজ করতে ভালোবাসেন তাদের পক্ষেও অনেক সাইট কাজ করে থাকে। জনপ্রিয় অনেক ছবিই কম্পিউটারের সহযোগিতায় তৈরী করা হয়েছে। তাই দেরি না করে তিনটি সুন্দর ছবি নিয়ে istockPhoto সাইট এ পরিদর্শনের জন্য পাঠাতে বসে যান। এতে সাইন আপ করলেই ছবি পাঠানোর সুযোগ পাবেন। ৩. ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল লেখক : এ ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা খুব বেশি না হলেও এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ২০০ থেকে ৩০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখেই আর্টিকেল ডিরেক্টরিতে পাঠিয়ে দিতে পারেন। Online Writing Jobs, PoeWar Freelance Jobs Ges Writing.com. এর মতো ওয়েব সাইটগুলো এ কাজে ভিজিট করা যেতে পারে। ৪. অডিও শুনে লেখা : কাজটি বেশ সহজ হলে এতে পারিশ্রমিকের পরিমান খুব বেশি নয়। তবে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে এটিও একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এ কাজ শুরু করতে ড়উবংশ সাইনআপ করা যেতে পারে। ৫. ehow.com এ আর্টিকেল লিখে আয় : আপনার যদি keyword research এর মৌলিক বিষয়গুলো জানা থাকে তাহলে প্রতি মাসে আর্টিকেল লিখে আপনি বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমানে অর্থ আয় করতে পারেন। গুগলে খোজ করা হয এমন আর্টিকেল লিখতে পারলে আপনি মাসে বেশ ভালো আয় করতে সক্ষম হবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একবার আপনার লেখা নির্ভাচিত হলে আপনি মাসের পর মাস সেটা থেকে অর্থ পেতে থাকবেন। ৬. পণ্যের প্রচারের উপযোগি ভিডিও তৈরি : ছোট খাট ভিডিও তৈরী করার শখ অনেকেরই থাকে। অনেক গুরুত্বহীন ভিডিও অনলাইনে পন্য বিক্রির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি নির্বাচন করে সেটার উপযোগি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ছেড়ে দিন। ভিডিওতে পন্যটির লিঙ্ক দিয়ে দিন। পণ্যটি প্রয়োজনীয় প্রমানিত হলে আপনিও কিছু পন্য বিক্রি করতে পারেন। ৭. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় : নিজের তৈরি করা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অন্যে সাইটের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। লোগো ডিজাইন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিন - See