21-01-2018 10:07:25 AM
সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল, ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি আর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বারবার হাথুরু ইস্যু চিন্তার বাইরে রাখার কথা বলেছেন। সাকিবতো হাথুরুকে নিয়ে মাথা না ঘামানোরও অনুরোধ জানিয়ে বসে আছেন।যিনি হাথুরুর জায়গায় কাজ করছেন, সেই টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পরিচয়ে যিনি এখন বাংলাদেশের দ্রোনাচার্য্য, সেই খালেদ মাহমুদ সুজনওতো এক সময় হাথুরুর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তার সাথে ম্যানেজার হিসেবে কাজও করেছেন বেশ কয়েক বছর।এখন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর কাম হেড কোচ হবার পর খালেদ মাহমুদ সুজন হাথুরুকে নিয়ে কি চিন্তা করছেন? ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে হাথুরু ইস্যুতে তার পরামর্শ বা বার্তাই বা কি?
আজ দুপুরে খালেদ মাহমুদ সুজন গুলশানে এক অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেলে হাথুরু ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন। অনেক কথার ভীড়ে সুজন জানিয়ে দিলেন, তিনি শুরু থেকেই চেয়েছেন হাথুরু ইস্যু যেন কোনভাবেই কারো মনে বা মাথায় জেঁকে না বসে। বরং সুজন কিভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়, সে চিন্তাই বেশি করছেন।তার কথা, ‘আমি আসলে হাথুরুসিংহের ব্যাপারটাই বাংলাদেশ দলে আনতে চাইনি। যে চলে গেছে তাকে নিয়ে আলাপ করাটাই বোকামি। তিনি পেশাদার। তার মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উনি তার মতই কাজ করবেন। তার শ্রীলঙ্কার কোচ হবার পর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশে বলেই বেশি কথা হচ্ছে। আমাদের মাথায় ছিল কিভাবে আমরা ওখান থেকে আরও সামনের দিকে যেতে পারি।’
নিজেরা কিভাবে ভালো ক্রিকেট খেলবেন, সেটাই চিন্তা করলেন সুজন। তিনি বলেন, ‘আমরা বেটার ক্রিকেট খেলতে পারি। আমরা আমাদেও শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে কাজ করছি অনেক। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা বিগত কয়েক বছর ধরে পারফর্ম করে যাচ্ছে। আমরা চাই আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা যদি কাঁধে-কাধ মিলিয়ে পারফর্ম করে তাহলে অপরাজেয় হতে পারবে।’
এসব কারণেই চন্ডিকার বিষয়টা নিয়ে আর ভাবতে চান না তারা। সুজন বলেন, ‘সে কারণেই আসলে চন্ডিকার বিষয়টি আমাদের মাথায় আসেনি। খেলোয়াড়রাও ওটা নিয়ে আলোচনা করতে চায়নি। দিন শেষে এটা ক্রিকেট ম্যাচ। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। যতই পরিকল্পনা করি মাঠে প্রয়োগ করতে না পারলে কিন্তু জিততে পারব না। আমরা লাকি যে, শেষ দুই ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং এর ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের রান ব্যবধানে বড় জয় এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।’
প্রথম দুই ম্যাচে এমন স্বচ্ছন্দ ও অনায়াস জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত। এখন কি পরের খেলাগুলোয় কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার সম্ভাবনা আছে? এমন সম্ভাবনা নাকচ করে সুজন বলে ওঠেন, ‘জেতাটা একটা অভ্যাস। জয়ের থেকে দূরে সরে যাওয়া মানেই বিপাকে পড়া। আমরা জয়ের থেকে যদি দূরে সরে যাই, তাহলে বিপাকে পড়বো। সেটা মাথায় আছে। অবশ্য এটাও সত্য, আমরা এই দল নিয়েও হারতে পারি। উইনিং কম্বিনেশন নিয়েও।’
কিছু টেকনিক্যাল কারণে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও মনে করেন সুজন। তিনি বলেন, ‘তারপরও কিছু ট্যাকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল পরিবর্তন তো থাকতেই পারে। এরপরও উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, আমরা কিন্তু এখনও ফাইনাল জিতিনি। ফাইনাল জেতাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো আমরা দুটি ম্যাচ দারুণভাবে জিতেছি, ভালো একটা পজিশনে আছি; কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জয়টাকে ধরে রাখতে হবে। সেটাই চাই।’
উন্নতির জায়গা চিহ্নিত করতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘এখনো অবশ্যই উন্নতির দরকার আছে। ভুলগুলো আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় না। আমরা ওগুলো নিয়ে কাজ করি। আমরা সেগুলো নিয়ে কথা বলি, যে গুলো আরও ভালো করতে পারি। আমাদের ভালো করার এখনও অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে এই দলটার। আমরা কাজ করবো। আমার কাছে মনে হয়েছে প্রথম ম্যাচে আমরা এক্সট্রা রান বেশি দিয়েছি। গত ম্যাচে সেটা আমরা করিনি। আমরা এ ভুলগুলো যদি না করি, তাহলে আরও ফরমেটবল দল হব। আরও পারফর্ম করতে পারব। এটা আরও ভালো জিনিসি হবে।’