13-12-2016 10:16:26 PM
প্রতিনিয়ত হ্যাক হচ্ছে মানুষের গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। এসব তথ্য হ্যাকের বেশিরভাগই হয়ে থাকে নিজেদের অবহেলা বা অসাবধানতার কারণে।
কিন্তু একটু মনোযোগী হলেই আমরা এসব তথ্য নিরাপদ রাখতে পারি। চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক তথ্য গোপান রাখার এরকম ৫ সহজ উপায়।
পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন: ল্যাবটপ, কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়। আর ব্যাংক কার্ড-এর সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে। এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনো পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না। এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি ‘লক’ করে যাবেন৷
নামে ‘গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন: এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন৷
ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা: আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷ আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷
কার্ড নয় ক্যাশ: আপনি যদি মনে করেন যে পণ্যটি আপনি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷ ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন।
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন: পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন। আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো।