13-12-2016 12:15:41 PM
বেতন কিংবা শোষণের শিকার হলেও কাতারে নিযুক্তি বিদেশি শ্রমিকরা চাকরি ছাড়াতে পারতেন না। ভাল চাকরির সুযোগ পেলে তাতে যোগ দিতে পারতেন না।কারণ কাতারে সব বিদেশি শ্রমিকের নিয়ন্ত্রক তার কাফিল (স্পন্সর)। দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা হবার পর এ ব্যবস্থা মঙ্গলবার থেকে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। কাফালা পদ্ধতির পরিবর্তে এখন থেকে সকল নিয়োগ হবে চুক্তিভিত্তিক। আগে থেকে নিযুক্ত শ্রমিকদের চুক্তিও নতুন পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হবে। দেশে ফিরতে হলেও কাফিলের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। আইনি অভিযোগ না থাকলে শ্রমিকরা ইচ্ছা ও প্রয়োজন মতো নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে। এছাড়া শ্রমিকরা চাইলে চাকরিও পরিবর্তন করতে পারবেন।বর্তমান কাফিলের সাথে চুক্তি শেষ হলে কিংবা এক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর কাজ পর একজন শ্রমিক চাইলে অন্যত্র কাজ করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে কাফিলের অনুমতির প্রয়োজন হবে। নতুন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একজন শ্রমিককে বর্তমান নিয়োগকারীর অনুমতি ছাড়াই নিয়োগ দিতে পারবেন। কাতারের শ্রম অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে একজন শ্রমিক কাফিল বা স্পন্সর পরিবর্তন করতে পারবেন। নিয়োগকারী এবং সরকারী অনুমোদন সাপেক্ষে চুক্তি শেষ হবার আগেই চাকরি ছেড়ে দিতে পারবেন বিদেশী শ্রমিকরা।নতুন আইনের অপব্যবহার হতে পারে, এমন আশংকা করছে অনেক শ্রমিক সংগঠন। যেহেতু এখন থেকে সকল বিদেশি শ্রমিককে চুক্তিতে নিয়োগ করা হবে, ফলে নিয়োগকারীর খুশিমতো শ্রমিক ছাটাই হবার আশংকা রয়েছে। কোন শ্রমিক যদি ছাঁটাই হয়, এবং সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ না করে কিংবা যদি তার অভিযোগ আদালত আমলে না নেয়, সেক্ষেত্রে নতুন আইন অনুযায়ী ঐ শ্রমিক পরবর্তী চার বছরের মধ্যে আর কাতারে কাজের অনুমতি পাবে না।এছাড়া, আদালতে রায়ে যদি কোন শ্রমিককে দেশে পাঠিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তীতে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সেদেশে আর ঢুকতে পারবেন না ওই ব্যক্তি।কাতার বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য জনপ্রিয় একটি গন্তব্য। সরকারি হিসেবে এই বছরও এখন পর্যন্ত দেশটিতে এক লাখের মতো বাংলাদেশি গেছে।