রূপচর্চা

19-08-2016 10:36:14 PM

এবার নিমিষেই দূর হবে চোখের নীচের ফোলাভাব!

newsImg

 ধরুন কোথাও বেড়াতে যাবেন। সব গোছগাছ হয়ে আপনিও তৈরি। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, চোখজোড়া বেশ ফুলে আছে। নিশ্চয়ই মনটাই খারাপ হয়ে যাবে আপনার। ঘুরতে যাওয়া বাদ দিন, এমনি সময়ও দেখা যায় ঘুমের একটু এদিক সেদিক হলেই চোখের নীচের অংশ ফুলে যায়। আর এলার্জি সমস্যা থাকলে তো সোনায় সোহাগা। আজ চলুন জেনে নেয়া যাক, কি উপায়ে কম সময়ে এই চোখের ফোলাভাব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

ঠান্ডা চামচ বা বরফ কিউবঃ আপনার যদি প্রায়শই চোখ ফোলার সমস্যা থাকে তবে সবসময়ের জন্য ফ্রিজে দুটি চা চামচ রেখে দিন। ফোলাভাব কমাতে চামচের ব্যবহারের এই পদ্ধতিটি বেশ আগের বলা চলে। চা চামচ দুটোকে চোখের ফোলা অংশে হালকা করে চেপে ধরে রাখুন ২/৩ মিনিটের জন্য। তবে ফ্রিজ থেকে বের করেই চোখে লাগাবেন না। বরং, ১ মিনিট বাইরে রেখে তারপর চোখে দিন।

আপনি চাইলে বরফের দুটি কিউব তোয়ালেতে জড়িয়েও আলতো করে চোখের ফোলা অংশে রাখতে পারেন। চোখের ফোলাভাব কমে যাবে।

গ্রিন টি ব্যাগঃ এটি পরীক্ষিত যে গ্রিন টি দেহের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের জন্য এটি বেশ উপকারী। গ্রিন টি ব্যাগ আপনি দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে পানিসহ টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে দিন। আরো ঠান্ডা হলে সেই টি ব্যাগ চোখের ফোলা অংশের উপর ১০মিনিটের মত সময় দিয়ে রাখুন। অথবা যেভাবে গ্রিন টি বানান, সেভাবে বানিয়ে পানীয় ঠান্ডা করুন। অতঃপর তা আইস ট্রেতে দিয়ে বরফ কিউব করে ফেলুন এবং তোয়ালতে জড়িয়ে ব্যবহার করুন।

রোজমেরি টি ব্যাগ বা রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েলঃ রোজমেরি টির ও রয়েছে গ্রিন টির মত চোখের ফোলাভাব দ্রুত কমানোর ক্ষমতা। এর ব্যাবহার গ্রিন টির মতই। আর যদি রোজমেরি এসিন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে চান তবে একফোঁটা তেলের সাথে একফোঁটা অলিভ অয়েল যুক্ত করুন। অতঃপর তা ফোলা অংশে আলতো করে মালিশ করে দিন। ফোলাভাব কমে যাবে। (খেয়াল রাখবেন, চোখের খুব বেশি কাছের অংশে যেন তেল না যায়। আর ফোলা ভাব কমে যাওয়ার পর তেল মুছতে ভুলবেন না যেন)

শসার টুকরোঃ ত্বকের উপকারে শসার জুড়ি নেই। শসা পরিষ্কার করে পাতলা স্লাইস করে নিন। ফ্রিজের শসা হলে বেশি ভালো হয়। একটু শুয়ে, চোখের ফোলা অংশে শসা দিয়ে খানিকটা চেপে ধরুন। অন্তত ৫ মিনিট শসার টুকরো চোখে রাখুন। ফোলাভাব চলে যাবে।

কিছু টিপসঃ

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, বিশেষ করে যদি বেশি দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে। তাহলে আপনার দেহের জলীয়র পরিমাণ ঠিক থাকবে যা আপনার চোখকে ফোলার কবল থেকে রক্ষা করবে।
  • অ্যালকোহল খাবেন না। খেলেও মাত্রায় বেশি একদমই নয়।
  • একটি বালিশের পরিবর্তে দুটি বালিশের উপর মাথা রেখে ঘুমান কিছুদিন।
  • পরিমিত পরিমাণ ঘুমান। প্রতিদিন অন্তত ৭/৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।