20-06-2016 01:32:13 PM
ইবাদতের বসন্তকাল রমজান। সওয়াবের ভরা মৌসুম। রহমাত, বরকত ও নাজাতের মাস। নবিজি সা. বলেন, রমজান বরকতময় মাস, তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে এ মাসে আল্লাহ একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে বঞ্চিত হল আল্লাহর মহাকল্যাণ থেকে। (ইবনে মাজাহ, ১৬৪৪)
এ মাসে রয়েছে অনেক আমল। আমরা ৩০টি বিশেষ আমল উপস্থাপন করছি। আমলগুলো কবুল হবে যদি নিচের এই দুই শর্ত পাওয়া যায়।
দুই. ইবাদাতের ক্ষেত্রে মহানবির অনুসরণ। কুরআন বলছে, এবং রাসুল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যা থেকে তিনি নিষেধ করেন তা থেকে বিরত হও। (সুরা হাশর : ৭)
আমলগুলো হলো-
১. রোজা রাখা : রোজা ইসলামের অন্যতম স্তম্ব। মহানবি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমজানের রোজা রাখবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারি শরিফ : ২০১৪)
২. নামাজ আদায় : রোজার সঙ্গে যথা সময়ে নামাজ জান্নাতের পথ সুগম করে দেয়। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রা. বলেন, তরজমা : আমি বললাম, হে আল্লাহর নবি! কোন আমল জান্নাতের অতি নিকটবর্তী? তিনি বললেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা। (মুসলিম শরিফ : ২৬৩)
৩. বেশি বেশি কুরআন পড়া: ৪. কুরআন পড়া শেখানো; ৫. কুরআন মুখস্থ করা; ৬. কোরআনের তরজমা তাফসির পাঠ।
নবিজি বলেন, তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর। (সুনানে তিরমিজি : ২৮৭৬(
৭. বরকতময় সাহরি খাওয়া; ৮. ইফতারি গ্রহণ; ৯. তারাবির নামাজ পড়া; ১০. রমজান পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করা। ১১. কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করা; ১২. তাহাজ্জুদ নামাজরে অভ্যাস গড়ে তোলা; ১৩. অধিক হারে দান-সদকাহ করা; ১৪. উত্তম চরিত্রের অনুশীলন; ১৫. শেষ দশে এতেকাফ করা; ১৬. দাওয়াত-তাবলিগে সময় দেওয়া; ১৭. সাধ্য থাকলে ওমরা পালন করা; ১৮. লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা; ১৯. ইফতার করানো; ২০. অধিকহারে তাওবা ও ইস্তেগফার করা; ২১. আল্লাহর ভয় বা তাকওয়া, জীবনের সর্বস্তরে বাস্তবায়ন; ২২. ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করা; ২৩. ফেতরা দেওয়া; ২৪. অসহায়দের সহায় দেওয়া; ২৫. অপচয় না করা; ২৬. আত্মীয় স্বজনদের সম্পর্ক উন্নীত করা; ২৭. সব সময় মুখে ঠোটে ও অন্তরে আল্লাহর জিকর করা; ২৮.মিসওয়াক করা; ২৯. কুরআন বোঝা; ৩০. কুরআন অনুযায়ী আমল করা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের অধিকহারে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন।