02-03-2016 03:30:49 pm
দীর্ঘ এক বছর মহাশূন্যে কাটিয়েছেন তারা। স্কট কেলি ও মিখাইল করনিয়েঙ্কো। প্রথমজন মার্কিন নভোচারী। দ্বিতীয়জন রুশ। মঙ্গল গ্রহে মনুষ্যবাহী অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে তাদেরকে প্রায় ৩৪০ দিন মহাকাশে রাখা হয়। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার অংশ। উদ্দেশ্য ছিল- আসলেই মানুষ দীর্ঘ সময় মহাশূন্যে খাপ খাওয়াতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা। আপাতত সেই পরীক্ষায় মানবজাতিকে বিজয়ী করেছেন স্কট ও মিখাইল। বড় কোনো সমস্যা ছাড়াই সফলভাবে মহাকাশযাপন শেষে পৃথিবীর বুকে ফিরে এসেছেন তারা। খবর এএফপি।
এই বিশেষ অভিযানের নাম ছিল ‘ওয়ান ইয়ার ক্রু’। মঙ্গলে মনুষ্যবাহী মিশনের প্রস্তুতি হিসেবেই এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বুধবার মধ্য কাজাখস্তানে অবতরণ করেন স্কট ও মিখাইল। পৃথিবীতে অবতরণের পর পরই তাদের প্রথম বার্তা ছিল, ‘উই হ্যাভ ল্যান্ডিং’। এর মধ্য দিয়ে কোনো মার্কিন মহাকাশচারী হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় মহাশূন্যে থাকার রেকর্ড গড়েছেন স্কট কেলি। অন্যদিকে রুশ হিসাব অনুযায়ী মিখাইল আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে।
গত বছরের ২৭ মার্চ শুরু হয়েছিল ওয়ান ইয়ার ক্রু নামের মিশনটি। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সর্বোচ্চ সময় কাটানোর এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল, দীর্ঘ সময় মহাশূন্যে থাকায় মানবদেহে কী প্রভাব পড়ে – তা পর্যালোচনা করা। এছাড়া কেলির ক্ষেত্রে ছিল আরেকটি ভিন্ন প্রকল্প। জমজ ভাই মার্কের সঙ্গে তুলনা করা হবে তার দৈহিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো। এ থেকে পাওয়া উপাত্তগুলো সংশ্লিষ্ট গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কর্তৃত্ব নাসার নভোচারী টিম কোপরার হাতে ছেড়ে আসার আগে সোমবার স্কট কেলি বলেন, ‘মহাকাশে সময় কাটানোতে একটি দল হিসেবে কাজ করার গুরুত্ব অপরিসীম। ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করলে যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।’
স্পেস স্টেশনে কাটানো সময়ে ইন্টারনেটে বেশ সক্রিয় ছিলেন স্কট। এ জগতে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তিনি। এসময় বেশ কিছু স্থিরচিত্র আপলোড করে টুইটারে পোস্ট দিয়েছিলেন স্কট। টুইটারে তার প্রায় লাখ দশেক ফলোয়ার আছেন।