23-12-2018 10:28:14 AM
পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই নির্বাচন একতরফা করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই নির্বাচন একতরফা করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন মরণকামড় দিচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের চালুনি দিয়ে ছেঁকে তুলছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদেরকে না পেয়ে নারী সদস্যসহ পরিবারের লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীকে না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সেনাবাহিনী হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। জনগণের ভরসা আছে যে, সেনা মোতায়েন করা হলে সন্ত্রাসীরা জাল ভোট দিতে পারবে না এবং রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স পূরণ করতে পারবে না। এটা জনগণের বিশ্বাস। এই বিশ্বাসটুকু সেনাবাহিনীর সদস্যরা রক্ষা করতে পারবেন। এটা জেনেই দলমত নির্বিশেষে বিরোধীদলসহ সবাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বার বার সোচ্চার কণ্ঠে বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার নানা টালবাহানা করে এখনও পর্যন্ত তাদেরকে মোতায়েন করেনি। আমার বিশ্বাস, যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, তাতে জনগণের মধ্যে একটা আস্থা ফিরে আসবে এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি- ডিএমপির বিভিন্ন থানার ওসিরা সীল মারার জন্য প্রাপ্ত তালিকাভুক্ত আওয়ামী কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। অপেক্ষাকৃত যুবক বয়সের কর্মীরা সীল মারার দায়িত্বে থাকবেন, পাঁচজন করে কেন্দ্রভিত্তিক সীল মারা গ্রুপ ঠিক করা হয়েছে। শুধু এদের দলনেতার কাছে মোবাইল থাকবে এবং ২৯ তারিখ রাতে নির্দিষ্ট নাম্বার ব্যতীত অন্য কোনো কল রিসিভ করবে না, থানা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই এর নেতৃত্বে থাকবে এবং রাতে ৩০% ভোট সীল মারা হলে তারা কেন্দ্র থেকে চলে যাবে। রাত ও দিনের বেলা কেন্দ্রের বাহিরে পাহারা দেয়ার জন্য পৃথক টিম গঠন করে দিয়েছে পুলিশ। সীল মারার সময় বাহিরে সর্তক অবস্থায় থাকবে বিভিন্ন বাহিনী। দিনের বেলায় আওয়ামী অন্য কর্মীরা লাইনে থাকবে, বার বার বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আবার ঠিক করা হবে এবং ভোট প্রদানের গতি অনেক মন্থর করা হবে, পুলিশের মোবাইল টিম কর্তৃক বিরোধীদলের সমর্থিত এলাকার লোকদের আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে।