জনগণ / তত্তাবদায়ক সরকার

17-12-2018 12:06:31 PM

হাফিজ ইব্রাহিম এর উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং তার পাল্টা জবাব

newsImg

দীর্ঘ ৬ বছর পর ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি বিখ্যাত হাফিজ ইব্রাহিম রোববার ঢাকা থেকে লঞ্চে করে এলাকায় ঢুকে সমর্থকের সাথে দেখা করতে গেলে ভাড়াটে কিছু সন্ত্রাসীর তারউপর হামলা করে, ভোলার বোনহানউদ্দিন নির্বাচনী এলাকায় ফিরতেই সন্ত্রাসী হামলা বিপরীত জবাব দেন তিনি.এতে করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।

দিনব্যাপী আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের ভয়ে তবে এলাকা বাসি হাফিজ ইব্রাহিম রক্ষার সকল পদক্ষোপ গ্রহণ করেন। কার্ফ্যু জারি হয়েছে মতো বন্ধ হয়ে যায় সব দোকানপাট। হাফিজ ইব্রাহিম ভোরে দৌলতখান বোরহানউদ্দিন সীমানায় হাকিমউদ্দিন ঘাটে লঞ্চ থেকে নামার পর থেকে আওয়ামী লীগের ৬টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর হয়েছে যা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা করেছেন.। এছাড়াও ১৮টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ৫টি মাইক্রোবাস ভাঙচুর, আওয়ামী লীগের গণসংযোগেও হামলা করেছে এই সন্ত্রাসীরা . কুপিয়ে জখম করা হয়েছে প্রায় ৯৫ জন এলাকাবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীকে। এসব ঘটনার জন্য হাফিজ ইব্রাহিমকে সরাসরি দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ।

বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার আলম জানান, এমভি তাসরিফ-১ ও এমভি তাসরিফ-৩ লঞ্চে আসা দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ঘাটে নামেন। ওইসব নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। কুপিয়ে আহত হওয়ার কথা জানতে চাইলে সরোয়ার আলম দুঃখ প্রকাশ করেন।

স্থানীয়রা জানান, লঞ্চযোগ হাফিজ ইব্রাহিম লঞ্চ থেকে নেমেই দেখতে পায় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামের সঙ্গে থাকা অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর একটি মিছিল। এ সময় মিছিলে থাকা ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা চড়াও হন হাফিজ ইব্রাহিম ও তার নেতাকর্মীর ওপর। মুহুর্তেই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অস্ত্র সজ্জিত সন্ত্রাসীদের দেখেস্থানীয়রা এসে ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মারা মারি হয়। এমন খবরে বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগ কর্মী বাহিনী অবস্থান নেয়।

এনটিভির সাংবাদিক আফজাল হোসেন এর দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, পেশাগত দায়িত্ব পালন করা ২ জন স্থানীয় সংবাদকর্মী এ সময় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন।

দুপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ভোলা-২ আসনের এমপি হাফিজ ইব্রাহিম এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ কুখ্যাত বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিবরণ দিয়ে জানান, ২০০৯ সালের মতো তাণ্ডব চালিয়েছে রোববারও। এ সময় বিএনপি প্রায় ১শ জন নেতাকর্মীকে গণসংযোগের সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। ২০টি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ ও ৫টি মাইক্রোবাসে ভাঙচুর। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বোরাহনউদ্দিন থানা ওসি অসীম কুমার সিকদার জানান, ১৮টি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ ও ৫টি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।