পড়াশুনা, পরীক্ষা ও ফলাফল

03-04-2018 06:40:18 PM

এ বছর থেকেই পিইসি পরীক্ষায় এমসিকিউ বাদ, বৃত্তি পেয়েছে ৮২৫০০ শিক্ষার্থী

newsImg

আগামী নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও সমাপনী পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) সকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যেভাবে চারটি অপশন থাকে একটিতে টিক দিতে হয়। আমরা আর সেই অপশন রাখছি না। আগামীবছর থেকে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। আমরা এমসিকউ পুরোটাই ফেলে দিবো। আংশিকও রাখবো না। মন্ত্রী বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করায় কিন্তু ফল পাওয়া গেছে। প্রশ্নফাঁসের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমরা সেই দিক বিবেচনায় নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ঝরেপড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার জন্য পৃথক পরীক্ষা নেয়া হতো। ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে উপজেলা বা ওয়ার্ডভিত্তিক এই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। তবে এবার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি প্রমুখ। উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝিতে চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকের ছয়টি বিষয়ের মধ্যে বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২৪, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৫০, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৫০ ও ধর্ম বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্র রাখা হতো। কিন্তু নতুন নির্দেশনার আলোকে এমসিকিউ বাদ দিয়ে ওসব জায়গায় রচনামূলক প্রশ্ন সংযুক্ত করা হবে।


প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীঃ
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুলে ও ৪৯ হাজার ৫০০ জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি প্রমুখ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা পাওয়া যাবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেয়া হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এ টাকা পাবে। শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং মেধার স্বীকৃতি দিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়া হয়। এবার বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও বাড়িয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছরের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। প্রাথমিকে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন এবং ইবতেদায়িতে ৫ হাজার ২৩ জন জিপিএ-৫ পায়।

 

আই-নিউজ২৪.কম:নিলুফার ইয়াসমিন