07-02-2018 10:59:16 AM

নিষেধাজ্ঞার পরও মাঠে থাকার প্রস্তুতি দুই পক্ষের

newsImg

৮ ফেব্রুয়ারি ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের ভেতর এমনকি ঢাকামুখী যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অনেক পয়েন্টে নিরাপত্তাচৌকিও বসানো হচ্ছে। গতকাল চিটাগাং রোডের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তোলা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের দিন ঘনিয়ে আসায় দেশজুড়ে টান টান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ওই দিন রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি না রাখলেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ওই দিন রাজধানীতে সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বন্দর নগরেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। আওয়ামী লীগ আগামীকাল রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছে দলীয় নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করলেও বিএনপি কাল রাস্তার দুই পাশে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়ে ‘শোডাউন’ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি কী ঘটে তা দেখেই দলটি পরবর্তী কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।

নাশকতা এড়াতে রাজধানীর গুলিস্তান, মহাখালী, ফুলবাড়িয়া ও সায়েদাবাদ—এই চার বাস টার্মিনালে ১৫ হাজার পরিবহন মালিক-শ্রমিক অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

সবমিলিয়ে আগামীকাল কী ঘটে তা নিয়ে জনমনে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি নাজুক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতে, বড় দুই দলের কারোরই পরিস্থিতি ঘোলা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ সরকার আইনগতভাবে করতে পারে। কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপে সরকারের লাভ দেখছি না। বরং সরকার এ ধরনের উল্টোপাল্টা করলে বিএনপির লাভ হবে। তবে বিএনপিকেও শান্তিপূর্ণভাবে খেলতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, ৮ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে জনমনে শঙ্কা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। কারণ কর্মসূচি নেই এ কথা মুখে তারা বললেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে দুই দলই বেশ সরব। তবে রায় যাই হোক না কেন, আপিল করার সুযোগ থাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা উচিত হবে না। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সাংঘর্ষিক অবস্থায় গেলে সরকার তা শক্তভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে। ফলে বিএনপি ওই দিন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেবে বলে আমি মনে করি।’

গতকাল ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার সই করা এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিচারাধীন একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরীতে কোনো কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াস চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্য ও মিডিয়ার সূত্রে জানা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল ভোর ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল প্রকার ছড়ি বা লাঠি, ছুরি, চাকু বা ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে বা বসে কোনো ধরনের মিছিল করা যাবে না।

এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘আইনের নামে অনাচার’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ : একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ আগামীকাল রাজপথে সতর্কভাবে অবস্থান নেবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল সহযোগী সংগঠন ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথ সভা করেছেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা। সভায় নেতাকর্মীদের আগামীকাল নিজ নিজ সাংগঠনিক ইউনিটে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের পুলিশকে সহযোগিতা করতেও বলা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ গতকাল সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে যেকোনো ধরনের অরাজক পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় যা যা করার পুলিশ তা-ই করবে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নির্বাচনের বছর হিসেবে রায় যদি বিপক্ষেও যায়, তাহলেও তারা (বিএনপি) রাজপথে কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না। এটা আমার ধারণা। যদি করে তবে আমরা কেন রাজপথে নামব, দল (আওয়ামী লীগ) কেন রাজপথে নামবে, নামবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার তারা করবে।’

যৌথ সভার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব।’

ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় আমাদের আগামীকাল নিজ নিজ সাংগঠনিক ইউনিটে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।’ 

সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেবে না। তবে আজ (মঙ্গলবার) থেকেই সতর্ক পাহারায় সজাগ থাকবে নেতাকর্মীরা। যদি কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়, তাহলে জনগণের জানমাল নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনে পুলিশকে সহযোগিতা করা হবে।’ 

আগের দিন সোমবার একই ইস্যুতে ১৪ দলের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘিরে বিএনপি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করে ১৪ দল। জোটের নেতাদের দাবি, রায়কে কেন্দ্র করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় যেভাবে ‘জ্বালা-পোড়াও’ আন্দোলন করে ঠিক তেমনটি করার জন্য নতুন ইস্যু খুঁজছে তারা। তাদের এই উসকানিতে কোনোভাবেই পা না দেওয়ার পরামর্শ দেন নেতারা।

মাঠে থাকবে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা : গতকাল রাজধানীর রাজউক এভিনিউয়ে বিআরটিসি ভবনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিক যৌথ সভায় আগামীকাল মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, ওই দিন নাশকতা এড়াতে রাজধানীর চারটি বাস টার্মিনালে ১৫ হাজার পরিবহন মালিক-শ্রমিক অবস্থান নেবে।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা হুমকি দিচ্ছেন। এ জন্য আমাদের এমন সিদ্ধান্ত। নিজেদের বাস নিরাপদ রাখার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, রায়ের পর যদি বিএনপি হরতালের ঘোষণা দেয়, তবুও বাস স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। বাস চলাচল বন্ধ হবে না। এমনকি দূরপাল্লার বাসও চলাচল করবে যাত্রী পাওয়াসাপেক্ষে। বাস পোড়ানোর নাশকতা থেকে নিজেদের বাস রক্ষা করার জন্য প্রতিটি বাসে দুই বালতি বালু রাখার পরামর্শ দিয়ে বাস মালিক-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যত্রতত্র বাস রাখা থেকেও বিরত থাকবেন।’

পরিবহন মালিকদের নেতা বাস চলাচলের ঘোষণা দিলেও আগামীকাল রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচলে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার কথা জানা গেছে। এমনকি দূরপাল্লার বাস এবং লঞ্চও ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অলিখিত কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে সোমবার থেকেই নতুন কাউকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।

অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা বিএনপির : খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি কোনো কর্মসূচি গতকাল পর্যন্ত দেয়নি। তবে পরিকল্পনা রয়েছে, আগামীকাল দলটি খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়ার পথের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে শোডাউন করবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এরই মধ্যে দলের মহানগরীসহ সারা দেশের সব ইউনিটকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, সমবেত নেতাকর্মীরা যেন নিজে থেকে কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটায়। ক্ষমতাসীন দল কোনো উসকানি দিলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিস্থিতি ধৈর্য ধরে মোকাবেলা করতে বলা হয়েছে।

তবে পুলিশ উসকানি দিলে বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও লাঠিপেটা করলে পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ন্ত্রণে নাও থাকতে পারে বলেও শঙ্কা আছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। আলাপকালে দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা বলেন, এমনিতেই লাগাতার গ্রেপ্তার অভিযানে নেতাকর্মীরা ‘সেন্টিমেন্টাল’ হয়ে আছে। তার ওপরে পুলিশ পেটানো শুরু করলে কর্মীদের থামিয়ে রাখা কঠিন। ফলে শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে এ নিয়ে শঙ্কা বিএনপিতেও আছে। একটি সূত্রের দাবি, রায়কে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির কোনো অবনতি ঘটলে বিএনপির কর্মকৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর কর্মসূচি আসাও অস্বাভাবিক নয়।

দলটির নেতাদের মতে, বিএনপি নেতাকর্মীদের আবেগ নিয়ে তারা শঙ্কিত। দলীয় প্রধানের সাজা হলে তাঁরা কিভাবে ‘রিঅ্যাক্ট’ করবে বলা মুশকিল। তাঁরা বলেন, বিএনপি কিছু করার কথা এ পর্যন্ত বলেনি। দেশে সংকট ও শঙ্কা যা তৈরি করার, সরকারই করছে। আগামীকাল কারফিউ পরিস্থিতি তারাই সৃষ্টি করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ৮ তারিখে বিএনপি কী করবে এ পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি। তাতেই সরকার সর্বত্র পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। তার অর্থ সরকার নিজেই উসকানি দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছে। তাঁর মতে, বল এখন সরকারের কোর্টে। সরকার শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি চাইলে ৮ ফেব্রুয়ারি কিছুই হবে না। আর পরিস্থিতি সরকার ঘোলা করলে তার দায়ও সরকারের ওপরে বর্তাবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, সম্ভবত সরকার ভয় থেকে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি, কাউকে হুমকিও দেয়নি। অথচ এতেই সরকার নার্ভাস হয়ে পরিস্থিতি উসকে দিচ্ছে। জনমনে শঙ্কা তৈরি করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৮ তারিখকে কেন্দ্র করে বিএনপির কঠোর কোনো কর্মসূচিও নেই; সংঘাতের কোনো পরিকল্পনাও নেই; কিন্তু সরকার উসকানি দিলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ও সরকারের।

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতে, চেয়ারপারসনের রায়কে সামনে রেখে বিএনপি কোনো কর্মসূচি দেয়নি। বিএনপি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার কথা বলেছে; কিন্তু অস্থিরতা তো সরকার সৃষ্টি করছে। গ্রেপ্তার করছে সরকার। মামলার রায় কী হবে সেটিও বলে দিচ্ছে সরকার। মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপিরটা নিষিদ্ধ করা হলো; আওয়ামী লীগেরটা কী করবে সেটি তো বলেনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘একদিকে সিনিয়র কয়েকজন সরকারদলীয় নেতা বলছেন কর্মসূচি নেই। অন্যদিকে সাঈদ খোকনসহ কয়েকজন বলছেন তাঁরা সতর্ক থাকবেন। তাহলে কোনটি ঠিক?’ তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা কেউ ভঙ্গ করলে তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো আছে। তাহলে সরকারি দলের সমর্থকদের নামতে হবে কেন? তার অর্থ কী! পরিস্থিতি তারাই তো উসকে দিচ্ছে।’

চট্টগ্রামে সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ : চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামেও নাশকতার আশঙ্কা করছে নগর পুলিশ। এ কারণে সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার এক নির্দেশনায় ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে নগর এলাকায় সব ধরনের সমাবেশ-মিছিল এবং লাঠি, ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ বহন নিষিদ্ধ করেছেন।

নির্দেশনার কথা নিশ্চিত করে সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ জানান, সিএমপি অর্ডিন্যান্সের ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সিএমপি কমিশনার আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নগরে কোনো অবাঞ্ছিত ব্যক্তির প্রবেশ, অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরক, বর্শা, বন্দুক, ছোরা বা লাঠি, ইট-পাথর বা নিক্ষেপযোগ্য কোনো বস্তু বহন এবং মিছিল কিংবা সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছেন।