27-01-2018 02:57:28 PM

মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত সৌদির আটক প্রভাবশালীরা

newsImg

সৌদি আরবে গত নভেম্বরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আটক বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী প্রিন্স ও কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির প্রভাবশালী প্রিন্স ও এমবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মালিক ওয়ালিদ বিন ইব্রাহীম এবং সৌদি রাজকীয় আদালতের সাবেক প্রধান খালিদ আল তুয়াইজিরি রয়েছেন।

শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আটক সৌদি প্রভাবশালীরা মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছেন। তবে এই মুক্তিপণের পরিমাণের ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গত নভেম্বরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার পর রাজ-পরিবারের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন প্রিন্স, সাবেক মন্ত্রী, রাজনীতিকসহ ধনাঢ্য দুই শতাধিক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

তখন থেকেই রিয়াদের বিলাসবহুল রিটজ কার্লটন হোটেলে আটকদের বন্দি রাখা হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি হোটেলটি পুনরায় খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। নভেম্বরের শেষের দিকে প্রিন্স মিতেব বিন আব্দুল্লাহ প্রায় একশ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে মুক্তি পান।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ওয়ালিদ বিন ইব্রাহীম তার টেলিভিশন চ্যানেল এমবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মালিকানার অংশীদারিত্ব মুক্তিপণ হিসেবে দিতে রাজি হয়েছেন।

একক ক্ষমতার অধিকারী হতে ও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রিন্সদের দমন করতেই নভেম্বরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ধরপাকড় অভিযান শুরু করেন বলেন অভিযোগ রয়েছে।

ধরপাকড় অভিযানের পর দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ পরিকল্পিত দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে আটককৃতরা। যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

তবে প্রভাবশালীদের আটক এবং হোটেলে রেখে সেই অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে সৌদি প্রশাসন। রিটজ কার্লটনে এখনো অনেক অভিযুক্ত কড়া পাহাড়ায় রয়েছেন এবং ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারির আগেই এই বিলাসবহুল হোটেল ফের খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।

তবে মুক্তিপণ দিতে এখনো যারা রাজি হয়নি; তাদের কারাগারে পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রভাবশালী সৌদি প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল শনিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি অন্যায় অপবাদ মুক্ত হতে চান এবং কয়েকদিনের মধ্যে মুক্তি পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। সৌদির শীর্ষ এ ধনকুবের আশা করছেন শিগগিরই তার বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর পুরো নিয়ন্ত্রণ পাবেন।