20-01-2018 10:55:58 AM
পূর্বপ্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ছাড়া ঢাকার সাত বড় কলেজকে অধিভুক্ত করায় সংকটে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগে এই কলেজগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করে। এতে করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা ইত্যাদি কারণে বিষয়টি নিয়ে জটিলতায় পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পরীক্ষা, ফল প্রকাশ ও ক্লাস শুরুর দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন শুরু করে ওই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের মুখে এক ব্যাচের পরীক্ষার ফল এবং ক্লাসের সময়সূচি ঘোষণা করার পরই শুরু হয় অন্য ব্যাচের আন্দোলন। এদিকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, অধিভুক্ত করা কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সাত কলেজের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর সব তথ্য একসঙ্গে না পাওয়ায় ফল প্রকাশ ও ক্লাস শুরুর সময়সূচি ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েক দফা চিঠি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের তথ্য দিতে শুরু করলেও এখনো সবার তথ্য পাওয়া যায়নি। সব তথ্য পাওয়া গেলে সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আর কোনো সমস্যা হবে না। বাকি তথ্য সরবরাহ করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আবারও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো বিষয়ের দায়িত্ব নিতে হলে প্রস্তুতি প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই ছিল না। তবু যেহেতু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা চালিয়ে নিতে হবে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের। এর জন্য আরো সময় প্রয়োজন।’
গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বড় সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়। এই সাত কলেজের মধ্যে রয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী রয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ২৩৬ জন। প্রস্তুতি ছাড়া এই কলেজগুলো অধিভুক্ত করায় পরীক্ষার তারিখ, ফল ঘোষণা ও সিলেবাস প্রণয়ন নিয়ে বিপত্তিতে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এসব নিয়ে আন্দোলন শুরু করে অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।
ফল প্রকাশ ও পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে প্রথম দফায় গত বছরের ২০ জুলাই আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ওই সময় শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান। ওই ঘটনায় এক হাজার ২০০ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলাও করে পুলিশ।
এরপর গত বছরের অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় দফায় চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশের দাবিতে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা। গত বছরের নভেম্বরে ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
দুই মাসের মাথায় সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফল প্রকাশ ও তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরুর দাবিতে আবারও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আগামী এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
সূত্র জানায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে এবং কলেজগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর সাত বড় কলেজকে অধিভুক্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এর জন্য কোনো প্রস্তুতি না থাকায় চাপে পড়ে যায় তারা। অধিভুক্তির পর প্রায় পাঁচ মাস পরীক্ষা, ফল প্রকাশ এবং ক্লাস শুরুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে অধিভুক্তির ঘোষণার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। এ অবস্থায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের টানাপড়েনে শিক্ষাজীবন ব্যাহত হলে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র আরো জানায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর রশিদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের দ্বন্দ্বের কারণে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নতুন প্রশাসন অধিভুক্ত কলেজগুলো নিয়ে সংকটে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলছেন, নিজেদের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতেই তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর সঙ্গে সাত কলেজের অধিভুক্তি তাঁদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ইচ্ছা থাকার পরও প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে দ্রুত ফল প্রকাশ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, এর মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা গুছিয়ে এনেছে। সাত কলেজের জন্য পৃথক ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাও বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার পরই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী অনেক তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা ও ইনকোর্স পরীক্ষার কিছু তথ্য এখনো বাকি রয়েছে। এসব তথ্য পাওয়া গেলেই দ্রুত ফল প্রকাশ করা যাবে।
সূত্র মতে, সাত কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওই প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করেনি। অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৫৮০ জন পরীক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জানালে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই তথ্যও এখনো পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া একই বর্ষের কিছু শিক্ষার্থীর ফল উইথহেল্ড ছিল। সেগুলোর তথ্যও জানায়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। মাস্টার্স শেষ বর্ষের ইনকোর্স নম্বর পাওয়া গেলেও তা পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় আবারও তথ্য চাওয়া হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। অনার্স তৃতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনো ইনকোর্স নম্বর পাওয়া যায়নি। ডিগ্রি পাসের লিখিত পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ইনকোর্স মার্কস পাঠায়নি।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একত্রিত হয়ে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’-এ একত্রিত হয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। গত ১১ জানুয়ারি রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
তাদের দাবি, অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিয়ে নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি করছে। ছাত্র না হয়েও পরিচয় দিয়ে অপরাধে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণপরিবহন ব্যবহার করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে চাপ সৃষ্টি করছে। সাত কলেজের প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সাক্ষাৎকার ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
অধিভুক্তি বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিকভাবে তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন থেকে সাত অধিভুক্ত কলেজের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না। তাদের কার্যক্রম প্রেরণ করা হবে। কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে ভরসা না রেখে গত সোমবার শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। ওই দিন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দোলনের উদ্যোক্তা ও সমন্বয়ক মশিউর রহমান সাদিককে মারধর করে এক দল বখাটে। পরে কোনো কারণ ছাড়া তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দেওয়ায় আমরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছি। টিউশন কিংবা ক্যাম্পাসের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে টিউশনেও প্রভাব ফেলছে। সর্বোপরি প্রশাসনিক ভবনে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ জন্য আমাদের দাবি, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা হোক।’
কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সরদার ইসমাইল বলেন, ‘সাত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে ফল হয়েছে উল্টো। এক বছর আগে দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা হলেও এখনো ফল প্রকাশিত হয়নি। আর তৃতীয় বর্ষের কোনো ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ, যার জন্য পুরোদমে ক্লাসও হয়নি। অথচ একই শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোতে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণ শেষ হয়েছে। আমরা এখনো অন্ধকারে আছি। এক বছরের সেশনজটে পড়ে গেছি। অতিদ্রুত আমাদের ফল প্রকাশ করতে হবে।’
প্রশাসনিক ভবনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাত কলেজের দেড় লাখ শিক্ষর্থীর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। এমনকি সাত কলেজের কার্যক্রম দেখাশোনা করবে কোন শাখা, তাও নির্ধারণ করা হয়নি। পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে প্রশাসনের টনক নড়ে। এরপর বিষয়টি দেখভালের জন্য দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে লোকবল চারজনে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু লোকবল আরো প্রয়োজন।
সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ক বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থী হওয়ায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।