সরকারী দল

11-12-2017 07:14:35 PM

প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে ত্রুটি: ১০ বিমানকর্মীর জামিন

newsImg

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটে ত্রুটির ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০ জন কর্মী জামিন পেয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্ত ১০ জন হলেন প্রধান প্রকৌশল কর্মকর্তা (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, প্রকৌশলী জাকির হোসাইন, এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান ও জুনিয়ার টেকনিশিয়ান শাহ আলম।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আর আজ সিএমএম আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন ১০ জন আসামি। ৮ ডিসেম্বর এ মামলার ১১ জন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছেন, মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনসহ মামলার নথি পাঠানো হবে ঢাকা মহানগর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। ওই আদালতই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদেশ দেবেন।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রধান প্রকৌশল কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দেবেশ চৌধুরীসহ অপর আসামিরা গ্রেপ্তার হন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটির বিষয়ে গঠিত পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, এটা ‘মানবসৃষ্ট’। এটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলা বা অদক্ষতা, নাকি নাশকতার চেষ্টা ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের প্রকৌশল শাখাসহ প্রতিটি স্তরে অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলা করার ব্যাপারে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় প্রকৌশল বিভাগের নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়, যার কারণে সেটি তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। পরে অপর একটি বিমান পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বুদাপেস্টে নিয়ে যাওয়া হয়।