03-11-2017 12:39:00 AM
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে (কুমেক) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন ইন্টার্নি ডাক্তারসহ আটজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেঝে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবর সন্ধ্যায়ও থমথম অবস্থা বিরাজ করছে কুমেক ক্যাম্পাসে।
বহিষ্কৃতরা হলেন ডা. খালেক, ডা. নওশাদ, ডা. সাদমান, ডা. শ্যামলা ও ডা. তানবিরসহ আটজন শিক্ষার্থী। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
কলেজ সূত্র জানায়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ২য় ব্যাচের ছাত্র হান্নান ও ৮ম ব্যাচের ছাত্র পলাশের নেতৃত্বে কুমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে ২য় ব্যাচের ছাত্র হান্নান ও ৮ম ব্যাচের ছাত্র পলাশের নেতৃত্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ শিক্ষর্থীকে আটক করে। পরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচারের আশ্বাসের মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ইন্টার্নিতে কর্মরত চিকিৎসক ডা. নওশাদ বলেন, সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করা জন্য ৫জন ইন্টার্নি ডাক্তারকে কর্তৃপক্ষ ডেকেছে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য হান্নান জানান, স্বাচিপের নেতারা ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলে ছাত্রদের মধ্যে এই ধরনের ঘটনাগুলো বারবার ঘটবে। ছাত্র রাজনীতির সাথে পেশাজীবী রাজনীতি চলতে পারেনা।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সদস্য পলাশ জানান, গ্রুপিং ব্যাপারটি কোন বিষয় নয়। কেননা আমিও এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছি। সেই হিসেবে ছাত্রদের সাথে আমাদের পরিচয় থাকতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা ছাত্রদের উস্কিয়ে দিচ্ছি। ছাত্ররা রাজনীতি করবে কিন্তু সহিংসতা কারো কাম্য নয়।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, গত রাতে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কয়েকজনকে বহিষ্কারও করেছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এব্যাপারে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মহসিন-উজ-জামান চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ না করাতে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।