13-12-2016 12:08:30 PM
পৌষ আসতে আরও কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে পঞ্চগড়ের পাহাড় থেকে নেমে এসেছে হাড় কাঁপানো শীত।যেন শীতবুড়ি দাঁত কামড়ে জাপটে ধরেছে উত্তরের এই জনপদকে। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমবায়ুর প্রভাবে কঠোর এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। দরিদ্র মানুষেরা পার করছে কঠিন এক সময়। এক বেলা খাবার থেকে তাদের কাছে একখণ্ড শীতের কাপড় এখন অনেক বেশি জরুরি। এদিকে শীতবেড়ে যাওয়ায় ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের আয় উপার্জনও কমে গেছে। কয়েকগুন কষ্টও বেড়েছে তাদের।এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বইছে হিমেল হাওয়া। তাপমাত্রার পারদও নামছে তর তর করে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ এর মধ্যে উঠা নামা করছে। শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন। আবার কেউ গরম কাপড় পরে বেরিয়ে পড়ছেন জীবিকার তাগিদে। গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার বুক চিরে ভোরের সূর্যোদয় হয় বেলা বারোটার দিকে।তাই অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সন্ধ্যে নামলেই পঞ্চগড় শহরে নেমে আসছে সুনসান নিরবতা। আগে ভাগেই সবাই ঘরে ফিরছেন । সন্ধ্যার পর পরেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারদিক। এতে করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে যানবাহন চালাতে হচ্ছে চালকদের। গভীর কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের মাত্রাও। বিশেষ করে রাত ১০টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বাড়ে এবং তা অব্যাহত থাকে সকাল ১১টা পর্যন্ত।লাঙ্গল গাঁও গ্রামের অছিরন (৬০), পানিমাছ পুকুরীর আবদুল হালিম (৭০) জানান, কঠিন শীত পড়ছে বাহে। হামার শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নাই। খরখুটো জ্বালিয়ে তাই আগুন পোহাছি।এদিকে, সরকারি উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল । তিনি বলেন, এরইমধ্যে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে শীতের কাপড় পাঠাচ্ছেন সরকারি-বেসকারি সংস্থা। এরমধ্যে পঞ্চগড় জেলায় সরকারিভাবে ২১ হাজার ৪১০ পিস কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন এগুলো বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছে।