13-12-2016 10:48:06 AM
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে যোগাযোগ সমস্যা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা পড়ছে।বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পাটগ্রাম উপজেলা সদর পর্যন্ত জরুরিভিত্তিতে ২ লেন থেকে ৪ লেন সড়ক নির্মাণে সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।এদিকে পুলিশ বিভাগের গোপনীয় শাখা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে এ-ও বলা হয়, ওই স্থানের দ্রুত সংস্কার না করলে জনঅসন্তোষে আন্দোলনের কর্মসূচীর ঘোষণাও আসতে পারে। এজন্য বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সই করা চিঠিতে বলা হয়, একমাত্র বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে সড়কপথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বুড়িমারী বন্দর থেকে পাটগ্রাম সদর পর্যন্ত সড়কটি জরুরিভিত্তিতে মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে। তাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে অবগত করতে বলা হয়।চিঠিতে আরও বলা হয়, বুড়িমারী থেকে পাটগ্রাম পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। ২ লেনবিশিষ্ট এ রাস্তা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যাতায়াত করা ভারী যানবাহনের জন্য উপযোগী নয়। এতে করে ওই সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে পুলিশের একটি চিঠি পাঠানো হয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। সেখানে বলা হয়, লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্রিজ থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত প্রায় ১২৫ কিমি মহাসড়ক রয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী গাড়ি চলে এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু ওই সড়কের বড়বাড়ি থেকে মহেন্দ্রনগর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিমি, আদিতমারী থানার পলাশী ১৮ কিমি থেকে কাকিনা ৩০ কিমি পর্যন্ত বেশিরভাগ রাস্তা খানাখন্দে বেহাল। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। অনেক সময় মালবাহী ট্রাক খাদে পড়ে। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে যান চলাচল। রাস্তাটি খারাপের কারণে যানবাহনগুলো লোকাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করে সেসব রাস্তাও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।লালমনিরহাটের পুলিশ সুপারের (জেলা বিশেষ শাখা) চিঠির বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় জানিয়েছে, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করলে পরিবহন মালিক-শ্রমিক, সাধারণ কৃষকসহ সর্বস্তরের জনগণ যে কোনো সময় আন্দোলনের ঘোষণাও দিতে পারে। তাই সওজ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে বিষয়টি অবগত করতে বলায় পুলিশের গোপনীয় শাখা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানিয়েছে।একদিকে পুলিশের এই চিঠি, অন্যদিকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠিতেও নৌ-মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্থলবন্দরের যোগাযোগ সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরে।