প্রবাসী

07-12-2016 04:34:03 PM

আমিরাতে শত গাড়ির বহরে বাংলাদেশিদের নজরকাড়া বনভোজন

newsImg

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রতিবছর কোনো না কোনো সংগঠন গাড়ির বহর নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।বাংলাদেশি কম্যুনিটির ব্যানারে এবারের আয়োজনে ছিল শত গাড়ির বহর, যা স্থানীয়দেরও নজরকাড়ে। আমিরাতের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ বনভোজনে ১০০টি গাড়িসহ আমিরাতে বসবাসরত প্রায় ২শ' ৫০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।  সকাল ৮টায় র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা মিলিত হন শারজাহ অস্ট্রেলিয়ান স্কুলের সামনে। সেখানে র‍্যালিতে অংশ নেয়া গাড়িগুলো আমিরাতের জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। হালকা নাস্তা শেষে সাড়ে নয়টায় ফুজাইরাহ মাধাব পার্কের উদ্দেশ্য রওনা করে বিশাল এ গাড়ি বহর। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে বর্ণাঢ্য গাড়ি বহর পৌঁছে গন্তব্যে।  পার্কে আমিরাতের জাতীয় দিবসের কেক কেটে অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রম শুরু করেন অতিথি ও আয়োজকরা। এরপর সকল স্তরের নারী পুরুষ আমিরাত ও বাংলাদেশের বিশাল পতাকা মেলে ধরে দুই দেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে সৌহার্দ্যতা প্রকাশ করেন।  মূল পর্বে ছিল পিকনিক স্পটে সমস্ত খাবার রান্নার আয়োজন, প্রাপ্ত বয়স্কদের মনোরঞ্জনমূলক মজার খেলা, বাচ্চাদের চেয়ার দখল প্রতিযোগিতা, মেয়েদের টাংগ টুইস্টার খেলা ইত্যাদি। পরে র‍্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। র‍্যাফেল ড্র-তে প্রথম পুরস্কার ৪০ ইঞ্চি সার্প টেলিভিশন জিতেছেন আলম মোহাম্মদ।অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সংগঠক আলী আহসান, মামুন রেজা, এটিএম জায়েদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইকবাল মল্লিক, নাসির উদ্দিন কাউছার, জায়েদ ইমাম হোসাইন পারভেজ। আয়োজকরা জানান, এ র‍্যালি মূলত আমিরাতের স্থায়ীদের প্রতি বাংলাদেশিদের ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশের উদ্দেশ্য আয়োজন করা হয়েছে। আরব আমিরাতের বিজয় দিবসে তাদের আনন্দের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশিদের প্রতি আমিরাতের সুদৃষ্টি কামনাই ছিল আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।এতে আরও উপস্থিত ছিলেন কনস্যুলেটের ভাইস কনসাল মেহেদুল ইসলাম, দুবাই বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভপেতি আন্না পারভিন, নাহার চৌধুরী, শায়লা খন্দকার, শারজা বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি আবুল বাশার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি রানা চাকমা, উম্ম আল কোয়েন বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন, মোহাম্মদ রাজা মল্লিক, প্রকৌশলী আবদুস সালাম খান, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ মাহবুব প্রমুখ।