প্রবাসী

04-12-2016 03:31:11 PM

বিনা খরচে বাংলাদেশি কর্মী নিবে কাতার

newsImg

কাতার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পারস্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারে বাংলাদেশি পুরুষকর্মী পাঠানো হবে কোন ধরনের খরচ ছাড়াই। জানা গেছে, কাতার ফাউন্ডেশন অল্প কিছু দিনের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লোক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঠিক কতোজন কর্মী নেয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে কাতারের চাহিদা কয়েক লাখ।

বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কাতারে বর্তমানে বিদেশি কর্মীদের সর্বনিম্ন বেতন সাত শত রিয়াল। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেই বেতন সর্বনিম্ন ১২ শত রিয়াল করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পুরুষকর্মীদের বিনা খরচে এ প্রক্রিয়ায় আনা হবে।’

সেলিম রেজা বলেন, ‘কাতারে অভিবাসনে আমাদের কিছুটা সমস্যা থাকলেও সেটি সমাধানের পথে। আমরা সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। বর্তমানে সৌদিতে নারীকর্মীরা কোন খরচ ছাড়াই যেতে পারছে। পুরুষদেরও সেই প্রক্রিয়ায় আনা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় শ্রমিক পাঠানোতে জটিলতা ছিল। এখন সেই শ্রমবাজার খুলে যাচ্ছে। পাশাপাশি অভিবাসন খরচও কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

 জানা গেছে, সামনের দুই বছরে প্রায় ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিতে চায় কাতার। দেশটি বাংলাদেশের কর্মীরা সাধারণত নির্মাণশ্রমিক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করে। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের জন্য দেশটির উন্নয়ন কাজ চলছে। তারা বাংলাদেশ থেকে পেশাগত এবং দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়।

জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে বর্তমানে ৭০টি ট্রেনিং সেন্টার দেশজুড়ে রয়েছে। জানা গেছে, শ্রমিকদের দক্ষ করতে আরো ৪০টি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে কাতারে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে।

জানা গেছে, নতুন নিয়মে ভিসা ট্রেডিং বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপ অনুযায়ী চাহিদাপত্র বা ডিমান্ড লেটার প্রথমে জমা পড়বে কাতারের ডাইরেক্টরেট অব পাবলিক রিক্রুটমেন্টে। এরপর তারা বাংলাদেশের বিএমইটির নিকট এই চাহিদাপত্রগুলো পাঠাবে। বাংলাদেশের বিএমইটি কাজের দক্ষতা বিবেচনা করে কোন এজেন্সি লোক পাঠাবে সেটা নির্ধারণ করবে।

এদিকে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র বলছে, প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিতে পারে কাতার। কাতারে ২০১৭-১৮ সালে এবং বিশ্বকাপের কারণে যে উন্নয়ন যজ্ঞ চলবে সেখানে বাংলাদেশি কর্মীদের আধিক্য বেশি হবে। সেবা খাতেও কাজ করবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা। জানা গেছে, সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা ভালোই আছে। দূতাবাসে গত দুই বছরে কোন অভিযোগ আসেনি। কর্মীদের দক্ষতা নিয়েও কোন অভিযোগ করেনি কাতার।

দূতাবাস বলছে, বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারে নতুন করে ১৭টি পাঁচতারা হোটেল, ১০টি আধুনিক স্টেডিয়াম এবং একাধিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। এজন্য কাতারের প্রচুর শ্রমিক দরকার। কাতার কর্মী নিতে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বস্ত। কাতার অন্তত ৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিতে চায়।