30-11-2016 12:03:15 PM

কলাপাড়ায় তিন ফসলি কৃষি জমি ও বসত বাড়ির জমিতে একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

newsImg

পটুয়াখালীর কলাপড়া উপজেলার দেবপুর গ্রামে বসত বাড়ি, কবরস্থানসহ তিন ফসলি কৃষি জমিতে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করার পরিকল্পনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে সেখানকার কয়েক হাজার গ্রামবাসী। ভূক্তভোগী এলাকাবাসী সমস্যা সমাধানে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় প্রতিদিনই সভা সমাবেশসহ মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচী পালন করছেন।

 
পটুয়াখালীসহ দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের কাছে তিন ফসলি কৃষি জমি সব থেকে গুরুত্বপুন পেয়ে থাকে। শুধু চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামেই বছরে কোটি টাকার শুধু তরমুজ উৎপাদন হয়। এ এলাকার তরমুজ সারা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এছাড়া উর্বর এসব জমি চাষাবাদ করে ওই এলাকার শত ভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে সম্প্রতি সময়ে এসব এলাকার কৃষি জমি, বসত বাড়ির স্থানে আশুগজ্ঞ তাপ বিদ্যুৎ, সেনা কল্যান সংস্থাসহ একাধিক কোম্পানী নতুন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। এলকাবাসীর দাবী, এ অঞ্চলের অর্থনীতি পুরোটাই কৃষি নির্ভর। সাড়ে ছয়শ একর তিন ফসলি জমির উপর নির্ভর করে পুরো এলাকার মানুষ জীবীকা নির্বাহ করে থাকে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য অকৃষি ও পতিত জমি সহ চরাঞ্চলকে নির্বাচন করার দাবী স্থানীয়দের।

চম্পপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার জানান, পুরো অঞ্চলের মানুষ কৃষি নির্ভর। এসব তিন ফসলি জমি যদি তাদের হাত ছাড়া হয়ে যায় তবে পূরো অঞ্চলের মানুষ খাদ্য সংকটে পরবে। হুমকির মুখে পরতে পারে তাদের আগামী প্রজন্ম।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে নৌ কল্যান সংস্থা ৫০০ একর, সেনা কল্যান সংস্থা ৭০০ একর, আশুগজ্ঞ পাওয়ার স্ট্রেশন ১ হাজার একর, রুরাল পাওয়ার ১ হাজার একর, নর্থ ওয়েস্ট ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবী সমাস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের সাথে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে আলোচনা করে এর সমাধান করা হোক।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত তিন ফসলি জমিতে কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করা হবে না। এমন কথায় ভরশা রেখে তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে উপকূলের কৃষি নির্ভর এ এলাকার কৃষকরা।