12-12-2016 04:59:27 PM
বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় ভরদা অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে আজ সোমবার দুপুর থেকে বিকালের মধ্যেই। আপাতত তা বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ধেয়ে আসছে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোর দিকে।
এদিন সকাল থেকেই চেন্নাই ও অন্ধ্র উপকূলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন বিকালে তামিলনাড়ুর উত্তর দিয়ে তা বয়ে গিয়ে অন্ধ্রের দক্ষিণ উপকূলে গিয়ে আছড়ে পড়বে। এই জায়গাটি চেন্নাইয়ের একেবারে অদূরে।
তবে জানেন কি কারা করল এমন নামকরণ? এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। এর অর্থ ‘লাল গোলাপ’। সোমবার বিকেলে উপকূল হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ার সময়ে তার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেয়া হয় তা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। প্রতিবছর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বা ঝড়কে আলাদা নাম দেয়া শুরু হয়েছে ২০০৪ সালে।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে যে কটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার আলাদা করে নাম দেওয়া হয়েছে। যেমন হুদহুদ, নিলোফার, কোমেন, রোয়ানু ইত্যাদি। এবার যেমন নাম দেয়া হয়েছে ‘ভরদা’।
ভারতীয় ‘ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট’ বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাকে আবহাওয়াবিষয়ক সাহায্য প্রদান করে থাকে। এই সবকটি দেশ মিলিয়েই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনগুলির নাম ঠিক করে থাকে।
এইভাবে মোট ৬৪টি নাম ঠিক করা রয়েছে। যখন যে দেশের সময় আসে, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে সেই দেশ তার নাম দিয়ে থাকে। এবার সেই অনুযায়ী ঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান।