বাংলাদেশ | শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র,১৪৩০

বিনোদন

09-05-2015 08:25:36 AM

চেষ্টা করুন, সফলতা আসবেই

newsImg

শিক্ষা ডেস্ক:  সফতা রাতারাতি আসে না। হাজারো চেষ্টা, সাধনার পরই আসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। পৃথিবীর যেসব পণ্ডিতকে আমরা চিনি, তারা এমনি এমনি পণ্ডিত কিংবা মনীষী হিসেবে খ্যাতি পাননি। তাদেরকে জীবনে এগিয়ে যাবার পথে পাড়ি দিতে হয়েছে হাজারো বাধাঁর পাহাড়। প্রতিনিয়ত তারা সংগ্রাম করেছেন নিজের সাথে। কাজেই সফলতার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। আজ ছোট ছোট কয়েকটি সফলতার গল্প বলবো। চলুন তাহলে গল্পের পাতায়- শুরুটা করছি একটি  চীনা বালকের  গল্প দিয়ে- ১। চীনারা ইংরেজিতে ভীষণ কাঁচা । তো এক চীনা বালক আমেরিকার কোন এক মাল্টিন্যাশ্নাল কোম্পানিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে চরম ভাবে ফেইল করে । তার ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে রীতিমত হাসাহাসি হয় । বেচারা মনে খুব দুঃখ পেলো সেইদিন । কিন্তু জেদও চেপে বসলো । পরবর্তীকালে এই ছেলেটা হয়েছিল ইংরেজির শিক্ষক । শুধু চীনেই তার ছাত্র রয়েছে ১০ কোটির উপরে । ...

২। ডেল কার্নেগীকে বলা হয় সর্বকালের সেরা বক্তা !তার কাহিনীটা জানা আছে কারো?। শুনন তাহলে ... জীবনে প্রথমবারের মতো ডেল কার্নেগী যখন মঞ্চে উঠে সবার সামনে ভাষণ দিতে শুরু করলেন তখন অডিয়েন্স তার দিকে ডিম ছুড়ে মেরেছিল । সেদিন ২ মিনিটের বেশি মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন নি । ব্যাপারটা কার্নেগী মেনে নিতে পারেন নি । এরপর থেকে তিনি ভাষণ দেয়ার অনুশীলন শুরু করলেন । যেখানে সেখানে গিয়ে ভাষণ দিতেন । রাতের বেলা নির্জন ল্যাম্প পোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতেন । ফাঁকা হল রুমে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা একা কথা বলে যেতেন । তার পরের গল্পে ডেল কার্নেগীকে আমরা সবাই চিনি ৩। জর্জ বারনারড শ কে সর্বকালের সেরা নোবেল রাইটার বলা হয় । তিনি নিয়মিত ২০ পৃষ্ঠা করে লিখতেন । কোন দিন লিখা বাদ পড়লে পরের দিন পুষিয়ে নিতেন ৪০ পৃষ্ঠা লিখে রাখতেন । তার চেষ্টার ফলে তিনি সর্বকালের সেরা নোবেল রাইটার হতে পেরেছেন ৪। একবার টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ,বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কার করতে তিনি কি পরিমান চেষ্টা করেছিলেন । এডিসন ,বলেছিলেন ,আমি প্রায় হাজার তিনেক বার চেষ্টার পর বাতির জন্য একটা উপযুক্ত ফিলামেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলাম । ৫। এক বালকের খুব ইচ্ছা হয়েছিল সে বুয়েটে পড়বে। কিন্তু সে অংকেই কাঁচা। খুব কম বোঝে অংক। স্যার কে গিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা বলল। স্যার বললেন, অংকে যারা ভালো না, তাদের জন্য বুয়েট না। শুরু হয়ে গেলো ঝড়। ছেলেটা সারাদিন অংক নিয়ে পড়ে থাকত । অংক প্রথমে বুঝার চেষ্টা করত । না বুঝলে ,দেখে দেখে খাতায় লিখতে রাখত । ভুলেও মুখস্ত করে না । বার বার বুঝার চেষ্টা করত । এই চেষ্টা করতে করতেই ছেলে বুয়েটে চান্স পেয়ে যায় একদিন !! অসম্ভব হচ্ছে সেটাই যেটাকে আপনি ""অসম্ভব "" করে রেখেছেন। হতে পারে দূর্বলতা স্রষ্টা প্রদত্ত। কিন্তু দুর্বলতাকে অতিক্রম করার ক্ষমতা প্রতিটা মানুষেরই আছে। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের মাঝেই স্রষ্টা সফল হওয়ার জন্য ৭০০ কোটি আইটেম রেখে দিয়েছেন । শুধু খুঁজে বের করার অপেক্ষা !! একটা গল্প দিয়ে শেষ করি... ছেলেটাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল এই জন্য যে, তার স্মৃতি শক্তি অত্যধিক দুর্বল!! এই ছেলেকে দিয়ে জীববিজ্ঞানের মতো vital subject পড়া সম্ভব না। তাকে অন্য বিষয় পড়তে দেয়া হোক যেটা তার জন্য সোজা। পরবর্তীকালে ইনিই হয়েছিলেন দ্বিপদ নামকরনের জনক !! বিশ্ব তাকে চেনে বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস নামে !! চেষ্টা করুন, পরিশ্রম করুন। আপনার স্বপ্নে কেউ বাঁধ সাধতে পারবে না। আপনি নিজের হাতেই গড়বেন নিজের স্বপ্ন।
খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- আই-নিউজ২৪.কম
এই খবরটি মোট ( 4249 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends