সরকারী দল

21-06-2016 10:04:26 PM

আধুনিক সেনাবাহিনীতে নিয়োগে বর্ডার মানা বাধ্যতামূলক নয়: সজীব ওয়াজেদ

newsImg
জয়গুল স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ক্যালিফর্নিয়া:
 
বাংলাদেশ কেন ভারতের মত বিশাল এবং পারমানবিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি দেশের অংশ নয়, এ জন্য আফসোস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র ও জয়গুলের আবিস্কারক বিশিষ্ট সার্চইঞ্জিন বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়। মহান ভারতীয় একটি পত্রিকায় জয়গুলের পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের সহায়তায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, ভারতের সাথে আবার একীভূত হওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আমাদের মেগাপ্রজেক্টে চিন্তাগবেষণা চলছে। সময় হলেই আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
 
সম্প্রতি ভারতীয় ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জয় বলেন, এটা কোনো ব্যাপার হল? আধুনিক যুগে পুরানো ধ্যানধারণা নিয়ে বসে থাকলে আপনি আগাবেন কিভাবে? আধুনিক সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্ডার কোনো ইস্যু না। আমরা আমাদের সেনাবাহিনীতে চাইলে বন্ধুরাষ্ট্র থেকে লোক নিয়োগ দিতে পারি।
 
এসময় ইরানের উদাহরণ দিয়ে জয়গুলের আবিস্কারক বলেন, ওরা সিরিয়া লেবাননের শিয়া যোদ্ধাদেরকে তাদের সেনাবাহিনীর বৈদেশিক শাখায় অন্তর্ভূক্ত করে যুদ্ধ করছে। আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যথেষ্ট সংখ্যক লোক পাচ্ছি না নিয়োগের জন্য। ফলে ভারত থেকে কিছু নিয়োগ হতেই পারে। এতে লজ্জা-সংকোচের কী আছে? এ জন্য আমরা প্রকাশ্যেই বিজ্ঞাপন দিয়েছি। আমাদের সরকার সবকিছুতে স্বচ্চ থাকতে চায়।
 
ভারতের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জয়গুলের মালিক। তিনি কান্না সংবরণ করে বলতে থাকেন, ‘আপনারা ভারতকে নিয়ে কট্টাক্ষ করবেন না। বাঁকা কথা বলবেন না। হৃদয়ে ছ্যাৎ করে উঠে। খুব কষ্ট পাই। জানেন, ছোটকালে যখন আমাদের কোনো আশ্রয়দাতা ছিল না তখন এই ইন্ডিয়াই আমার মাম্মিকে আশ্রয় দিয়েছিল। আমাকে পেলেপুষে বড় করেছিল। দিল্লীতে বসে ইন্ডিয়ান কোম্পানির কত লেবেনচুূষ খেয়েছি ছোট থাকতে। আহা কী সুস্বাদু সেই লেবেনচুষ! আমার ন্যাংটাকালের বন্ধুদের ছেলেপিলেদেরকে এই দেশের সেনাবাহিনীতে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়ায় আপনাদের এত লাগে? কিন্তু আমার নানুকে যখন খুন করেছিল তখন আপনারা খুব হেসেছিলেন! আহারে বেইমানের জাত বাঙালী!’ এতটুক বলে হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দেন বিজ্ঞানী জয়।
 
হঠাৎ কান্না থামিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধুকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করে একদা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া জয়। তিনি কোনো রাখঢাক না করেই বলতে থাকেন, ‘ভারতের সাথে একীভূত হওয়ার জন্য প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আর আমরা প্রথমে ক্ষমতায় এসেই সেই সেনাবাহিনীকে খতম করে দিয়েছি। তারপর সেনাবাহিনী থেকে বিভিন্ন কৌশলে আমরা দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি অফিসারদের বের করে দিয়েছি।
 
সেনাবাহিনীকে শেষ করা ছাড়া ও আর কি পদক্ষেপ নিয়েছেন, জানতে চাইলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান , আমরা বিভিন্নভাবে ভারতের সাহায্যে নিয়ে একীভূত হওয়ার চেষ্টায় আছি। ২০১৩ সালে হেফাজতের উপর হামলার সময় আমরা ইন্ডিয়ান আর্মি দিয়ে হেফাজতের ২০০ মানুষকে খুন করে লাশ গুম করে দিয়েছি।
 
আমার মায়ের অফিস অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ইতিমধ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা কন্ট্রোলে নিয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বন্দরে ভারতীয় RAW এর আঞ্চলিক অফিস স্থাপন করেছি। আপনাদের খেয়াল আছে কিনা একবার জঙ্গি সন্দেহে ঢাকা বিমান বন্দরে একজন গ্রেপ্তার হলে তাকে ভারতীয় গোয়েন্দারা তুলে নেয়।
 
সাতক্ষীরা যখন মিনি পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছিলো , তখন আমরা ভারতীয় সৈন্যদের সাহার্য নিয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের মেরে বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছি। আপনাদের হয়তো খেয়াল আছে সেই সময় অসাবধানতা বশত একটি ফ্যাক্স বার্তা প্রকাশ হয়ে গিয়েছিলো।
 
তিনি আরো জানান, বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনকে দমাতে এবং সাঈদীর ফাঁসি নিশ্চিত করতে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ও সাঈদীর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে ইন্ডিয়ার সাহায্যেই আমরা ভারতে পাঠিয়েছিলাম।
 
দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে আর কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন, জানতে চাইলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, আমরা পুরো বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে হিন্দুদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছি। আর তা করা হয়েছে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে। আপনারা হয়তো দেখবেন, যেখানেই কেউ ক্রসফায়ারে মরছে, অথবা দুর্নীতি করে অথবা ধর্ষণ করে ধরা কাছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটিই কিন্তু হিন্দু। এটা আমাদের ১০০% সাফল্য বলে ও জানান তিনি।
 
ভারতের সাথে আমাদের কোনো বোর্ডের থাকবে না , এই কারণেই আমরা ফ্রিতেই ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছি। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার কত কষ্ট করে আমাদেরকে ক্ষমতায় রেখেছে, আর আমরা তার প্রতিদান দিবো না ?
 
তিনি আরো বলেন, এই দেশের হিন্দুরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে মেনে নিয়েছে। দেখেন নাই পীযুষ ও রানা দাসগুপ্ত আমার মাকে নালিশ না দিয়ে মোদিকে হস্তক্ষেপের আহবান জানিয়েছেন। এটা আমাদের অন্যতম সাফল্য। আর এটি আমার নানার ও একটি স্বপ্ন ছিলো।
 
এর আগে আমরা পুলিশে বিভিন্ন নাম ঠিকানা বিহীন ভারতীয়দের নিয়োগ দিয়েছি। যেহেতু আমরা ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না। এই সব ভারতীয় পুলিশ অফিসারেরা ইতিমধ্যে আমাদেরকে ভালো ফলাফল ও দিচ্ছে। আমরা অনেক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের তাদের মাধ্যমে গুম করতে সক্ষম হয়েছি বলে ও তিনি জানান।