আউটসোর্সিং

20-02-2016 09:51:10 am

ফেসবুক থেকে পন্য কিনছেন? সাবধান থাকুন

newsImg

ই-কমার্স বা ই-বানিজ্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। এটি এমন একটি ব্যবসার পদ্ধতি যেখানে কম্পিউটার নেটওইয়ার্ক এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য কেনাবেচা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করে অনেকেই ই-কমার্সে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

কিন্তু আজকাল কিছু প্রতারক ব্যক্তি ও প্রতারণা চক্র এই ই-কমার্সের নামে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ক্রেতাদের সাথে অহরহ জালিয়াতি করে চলেছেন। প্রতারণা চক্রের ওই সদস্যরা ফেসবুকে ভুয়া আইডি বা ই-কমার্সের পেজ খুলে তাতে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন।

ফেসবুকে এমনই এক প্রতারক চক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যারা কিনা ফেসবুকে বিভিন্ন নামি-দামি পন্য কম দামে বিক্রয়ের নাম করে ভুয়া বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে থাকেন এবং বিকাশের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

উক্ত প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়া এক ভুক্তোভুগির কাছ থেকে জানা যায়, তিনি ফেসবুকে বিসিপি নামের একটি ই-কমার্স সাইটে যান। এবং সেখানে রনি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি একটি সনি মোবাইলের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এবং সেখানে সেটির মূল্য তেরো হাজার টাকা উল্লেখ ছিলো। অথচ মোবাইলটির প্রকৃত মূল্য ছিলো প্রায় সাতাশ হাজার টাকা। এত সস্তায় ফোনটি বিক্রি হবে ভেবে তিনি বিজ্ঞাপনের সাথে থাকা মোবাইল নম্বরে কল দেন। পরবর্তীতে সেই নম্বর থেকে এক ব্যক্তি তাকে জানান, তিনি যদি পন্যটি নিতে চান তাহলে প্রথমে বিকাশে তাদের কাছে এক হাজার টাকা পাঠাতে হবে। তাহলে তার পণ্যটির অর্ডার কাটা হবে, কথানুযায়ী তিনি তাদের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে প্রতারক ব্যক্তি তার নম্বরটি ব্লক করে দেয়। পরে অন্য কোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়না।

এভাবে প্রতারক সদস্যরা ই-কমার্সের নাম করে বেশী মুল্যের পন্য কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ক্রেতাদের প্রতিনিয়ত ঠকিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সেই রনি আহমেদ নামধারী আইডিতে একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিঙ্ক দেখা গেলেও সেটিতে ক্লিক করে উক্ত অফিস সম্পর্কিত বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিসিপি নামের ই-কমার্সের সেই প্রতারক চক্র তাদের আইডিতে একটি ঠিকানা উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে আমাদের লেটেস্ট বিডি নিউজের সংবাদ কর্মীরা উক্ত ঠিকানা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের মোগরাপারায় অবস্থিত আইউব প্লাজার তৃতীয় তলায় ২৭ নং দোকানে সরেজমিনে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে কোনো ই-কমার্স অফিসের অস্তিত্বই ছিলোনা। এতে নিশ্চিত হওয়া গেলো যে, ওই আইডির প্রতিটি তথ্য মিথ্যে ছিলো।

সেই প্রতারক চক্রের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য তাৎক্ষনিক লেটেস্ট বিডি নিউজ বিকাশ কাস্টমার অফিসার জান্নাতের সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন রকম সহায়তা পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তারা আশ্বাস দেন, যে ওই প্রতারক সদস্যদের বিকাশ অ্যাকাউণ্ট ডিএকটিভেট করে দেওয়া হবে।

প্রতারক চক্রের কবলে পড়া ব্যক্তি আরও জানান, আমার মত যাতে আর অন্য কেউ না জেনে বুঝে ফেসবুক থেকে পন্যের অর্ডার না করে।