বিরোদী দল

28-01-2018 12:05:02 PM

৮ ফেব্রুয়ারির আগেই সভা জাতীয় নির্বাহী কমিটির

newsImg

বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে গতকাল স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে কৌশল ঠিক করতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির আগে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন তিনি। এর আগে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসবেন বিএনপির প্রধান।

গতকাল শনিবার রাতে গুলশানে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে খালেদা জিয়ার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে মামলার রায় ‘তড়িঘড়ি’ করাকে ‘সরকারি ষড়যন্ত্র’ দাবি করে এর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

এদিকে এ বিষয়ে জোটের অবস্থান ঠিক করতে আজ রবিবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানিয়েছেন, বৈঠকে মূলত খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে রায় ঘোষণার নির্ধারিত তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারির আগে স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকের কথাও জানান তিনি।

ওই নেতা বলেন, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার পর এই প্রথম জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন খালেদা জিয়া; যেখানে তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো জানায়, মামলার রায়ের বিষয়ে কয়েকজন নেতা সাজার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও খালেদা জিয়া মনে করছেন, হয়রানি করতেই এসব করা হচ্ছে। সুষ্ঠু বিচার হলে তিনি খালাস পাবেন। কিন্তু সরকারের ভিন্ন মতলব রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই পরিস্থিতিতে নেতারা তাঁকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকার পরামর্শ দেন, যেখানে দল সম্পর্কে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দেবেন তিনি।

সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করছে—এক নেতা এই মন্তব্য করলে খালেদা জিয়া তাঁদের সক্রিয় ও সজাগ থাকতে বলেন। এ ছাড়া রায় কী আসে তা দেখে কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় বৈঠক শুরু হয়ে চলে পৌনে ১২টা পর্যন্ত। বৈঠকের এক ফাঁকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গোটা জাতি আজকে উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও ত্রুদ্ধদ্ধ। আমরা মনে করি, এটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবার জন্য এবং সকলের অংশগ্রহণে ইনক্লুসিভ ইলেকশন নষ্ট করার জন্য এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বিচারের নামে সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা জানাব রায় ঘোষণা হওয়ার পরে।’

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।