31-12-2017 10:41:49 AM
বাংলাদেশের পেস বোলাররা এখন বেজায় চাপে আছেন, তাঁদের নৈপুণ্য নিয়ে যে সন্দিহান ঘরে-বাইরের সবাই! একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা তাই মধ্য তিরিশেও দেশের সেরা পেসারের রাজদণ্ড হাতে নিয়ে বসে আছেন। আবার প্রয়োজনের সময় পেসারদের ব্যাটেও আস্থার ছায়া নেই।
সব মিলিয়ে জাতীয় দলের চৌহদ্দিতে থাকা মাশরাফির ‘জুনিয়র’রা তীব্র সমালোচনার মুখে। এমন সময়ই গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে নতুন লক্ষ্যের কথা শুনিয়েছেন জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
পেসারদের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে...
যারা ক্রিকেট ভালো বোঝে তারা বুঝবে যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো উইকেট হয়। ওখানে এক দিনে সাড়ে তিন শ রান হয়। আমরা আসলে রানও কম করেছি। শুধু বোলারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। যা-ই হোক, যে দিন চলে গেছে, তা নিয়ে আর কথা না বলি। সামনে নতুন বছর আসছে। নতুন শুরু হবে ইনশাল্লাহ।
উইকেট প্রসঙ্গে...
বাংলাদেশে যে রকম উইকেট হয়, অমন উইকেটেই আমরা ভালো করেছি। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে জিতেছি। যেমন উইকেটই হোক, স্কিল মেলে ধরাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। (খালেদ মাহমুদ) সুজন স্যার স্পটে ফেলে সবার অ্যাকুরেসি দেখছেন, ভিডিও করা হচ্ছে...ভিন্ন ধরনের ট্রেনিং হচ্ছে।
বিশেষ প্রস্তুতি...
আমরা বোলাররা বিশেষ একটা স্কিল নিয়ে ড্রিল করছি। সিম পজিশন ঠিক করা, যার যা শক্তি... আউটসুইং, ইনসুইং, ইনকাটার নিয়ে কাজ করছি। নিজের শক্তির জায়গাগুলোতে আরেকটু উন্নতির চেষ্টা করছি। আর অ্যাকুরেসি কিভাবে বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করছি।
দলের উঠতি পেসারদের প্রসঙ্গে...
প্রাথমিক স্কোয়াডে অনেক তরুণ পেসারও আছে। তাই চূড়ান্ত দলে জায়গা পাওয়ার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। এটা সব সময়ই ছিল। যারা স্কোয়াডে আছে, তারা সবাই স্কিলফুল।
বোলারদের ব্যাটিং প্র্যাকটিস...
অনেক ক্লোজ ম্যাচে বোলারদেরও ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখতে হয়। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের লোয়ার অর্ডার অনেক ভালো। আমাদেরও উন্নতি হয়েছে। তবে লোয়ার অর্ডারের সবাই যদি ১৫-২০ রান করতে পারি, তাহলে দলের জেতার সম্ভাবনা বাড়বে। প্র্যাকটিসে তাই উল্টাপাল্টা না, বাজে বলের ফায়দা নেওয়াটা শিখছি। আশা করি, বোলারদেরও ভালো ব্যাটিং দেখতে পাবেন।