31-12-2017 10:27:55 AM

সারা বিশ্বের বিস্ময়!

newsImg

ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সি দখলে নেওয়া যার ক্ষেত্রে ভীষণ বিস্ময়কর, সেই ব্যক্তি নারীঘটিত কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে সিরিয়ার দিকে মিসাইল ছুড়ে দেওয়া পর্যন্ত এমন অনেক আলোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন, যেগুলোর তালিকা করতে গেলে রীতিমতো বেগ পেতে হবে। তাঁর প্রেসিডেন্সির এক বছর পূর্তির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, একই সঙ্গে বিশ্বের সবার জীবন থেকে বিদায় নেওয়া বছরটিতে ট্রাম্প কী কী আলোড়ন তুলেছেন, চলুন দেখে নেওয়া যাক—

এ বছর ২০ জানুয়ারি বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে অভিষেক হয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রিপাবলিকান রাজনীতিক ট্রাম্পের।

অবশ্য আলোচনা-সমালোচনায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এরও আগে। নির্বাচনী প্রচারকালে তাঁর উদ্ভট মন্তব্য আর নানা রকম হুমকি-ধমকি, তাঁর রাশিয়াপ্রীতি এবং তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসা যৌন হয়রানির বিস্তর অভিযোগ তাঁকে বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে। আর ক্ষমতায় বসার পর তিনি যা করে চলেছেন, তাতেও সব ঘটনার মধ্যে সবার চোখ তাঁর দিকেই নিবদ্ধ।

 

নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর : অভিষেকের পর প্রথম যে কাজটি ট্রাম্প শুরু করেন, সেটা হলো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের উদ্দেশ্যে একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর। প্রথম ১০০ দিনে তিনি ৩২টি নির্বাহী আদেশে সই করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের চেয়ে সংখ্যায় বেশি। এর মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে প্রণীত ‘ওবামাকেয়ার’ শীর্ষক স্বাস্থ্যনীতি বাতিলের বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে।

হোয়াইট হাউসে অস্থিরতা : ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন পদে নিয়োগ আর পদত্যাগ নিয়ে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। পূর্ণ মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে এমনিতেই চাপের মধ্যে থাকা ট্রাম্পের সহযোগীদের এই যাওয়া-আসায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। সবচেয়ে আলোচিত হয় তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের নিয়োগের তিন সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগ।

 

ঘাড়ের ওপর এফবিআই : ট্রাম্পের রাশিয়াপ্রীতি দ্রুতই তাঁর বিপদ ডেকে আনে। ক্ষমতাগ্রহণের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় তাঁর সহযোগী, এমনকি খোদ তাঁর বড় জামাতা জারড কুশনারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরো তথা এফবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে তাঁরা রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করেছেন।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ও চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার : মার্কিন স্বার্থবিরোধী বলে মনে হলে যেকোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি ট্রাম্প দিয়ে রেখেছেন ক্ষমতাগ্রহণের আগেই। জাতিসংঘের অভিবাসীবিষয়ক বৈশ্বিক চুক্তি এবং শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি সেই হুমকি বাস্তবায়ন করেছেন। পরিবেশবাদীদের বৈশ্বিক উষ্ণায়নবিষয়ক উদ্বেগকে ‘স্রেফ ধাপ্পাবাজি’ অ্যাখ্যা দিয়ে জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস চুক্তি থেকেও সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রাচ্যে সামরিক অভিযান : উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এখনো পেরে না উঠলেও গত ৭ এপ্রিল সিরিয়ায় ৫৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন ট্রাম্প।

জেরুজালেম ঘোষণা : অন্যতম আলোচিত ঘটনাটির জন্ম হয় বছরের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে। গত ৬ ডিসেম্বর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে মুসলিম বিশ্বে তো বটেই, বাকি বিশ্বেও তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।