15-12-2017 09:52:48 AM

জঙ্গিবিমান প্রকল্পের জন্য অংশীদার খুঁজছে ভারত

newsImg

 ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানার প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (এইচএএল) তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে জঙ্গিবিমান নির্মাণে সহযোগিতার জন্য ভারত ও ভারতের বাইরের ৮০টি ব্যবসায়ী সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে আহŸান জানিয়েছে। এইচএএল আশা করছে, আগামী বছরেই তারা স্থানীয়ভাবে তৈরী প্রশিক্ষণ বিমান ও হালকা ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সরবরাহ করতে পারবে। এইচএএল-এর সিএমডি টি সুবর্ন রাজু গত মঙ্গলবার বলেন, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর কাজের নানা ক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে তাদের সাথে কাজের পরিধি বাড়ানোর ব্যপারে আমরা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ, যাতে এই প্রকল্পগুলো সফল হতে পারে। এইচএএল শিগগিরই ১০০টি প্রাথমিক পর্যায়ের এইচটিটি-৪০ প্রশিক্ষণ বিমান তৈরি করতে চায়। আগামী মাসগুলোতে স্পিন টেস্ট শেষ হলেই এগুলোর নির্মাণ শুরু হবে। রোটারি উইং শাখায়, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ২০১৮ সালের মাঝামাঝি হালকা ইউটিলিটি হেলিকপ্টারের জন্য অনুমোদন অর্জন। এইচএএল’র এই বিবৃতি থেকে মনে হচ্ছে, ৩৮টি সুইস পাইলেটাস পিসি ৭ এমকে ১ প্রশিক্ষণ বিমান কেনার যে প্রস্তাব রয়েছে, সেটা হয়তো কিনবে না ভারত। শুরুতে ৭৫টি এই বিমানের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। সবগুলোই এর মধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগে, ভারতীয় বিমানবাহিনী এইচটিটি-৪০ প্রোগ্রাম প্রত্যাখ্যান করে সুইস পাইলেটাস পিসি ৭ এমকে ১ প্রশিক্ষণ বিমানকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালে পাইলেটাস ক্রয় প্রক্রিয়ায় মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে সেটার তদন্ত করছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশান। অভিযোগ উঠেছে, পাইলেটাস বিমানবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাকে অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিল। কিন্তু ভান্ডারি সময়মতো কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যায়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য এইচটিটি-৪০ বিমানের এখন খুবই প্রয়োজন কারণ তারা এখন প্রশিক্ষণ বিমানের অভাবে ভুগছে প্রচÐভাবে। এইচটিটি-৪০ ফ্রান্সে তাদের উইন্ড টানেল পরীক্ষা করেছে এবং এরপর স্টল ও স্পিন পরীক্ষার জন্য সামান্য কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে তাদের। এইচটিটি-৪০ এর অস্ত্রবাহী সংস্করণ তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে হালের। গতানুগতিক নয় এমন অভিযান বা রফতানির জন্য তারা এটা তৈরি করবে। ওয়েবসাইট।