আন্তরজাতিক রাজনীতি

12-11-2017 10:08:13 AM

ফ্লিনের বিরুদ্ধে গুলেনকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগ

newsImg

যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকা তুরস্কের ধর্মনেতা ফেতুল্লা গুলেনকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। তবে ফ্লিনের আইনজীবী এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ফেতুল্লা গুলেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অভিযোগ, গুলেনের প্ররোচনায়ই গত বছরের জুলাই মাসে তাঁর দেশে অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়েছিল। তবে গুলেন এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর ট্রাম্পের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ দিন পরই বরখাস্ত হতে হয় ফ্লিনকে। নিয়মবহির্ভূতভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার অভিযোগ ওঠায় চাকরি হারান তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এক খবরে জানায়, গুলেনকে অপহরণচেষ্টা-বিষয়ক একটি অভিযোগ তদন্ত করছেন বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। মাইকেল ফ্লিন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গুলেনকে অপহরণ করে তুরস্কের সরকারের হাতে তুলে দিতে তাঁরা দেড় কোটি মার্কিন ডলার নিয়েছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্ত করছেন রবার্ট মুলার ও তাঁর দল। শুরু থেকেই মুলারের তদন্তের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফ্লিন। এর অন্যতম কারণ যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে তাঁর আলোচনা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, এ বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত করতে গিয়ে ফ্লিনের বিরুদ্ধে অপহরণচেষ্টার ওই অভিযোগটি পাওয়া গেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, নিউইয়র্কে তুর্কি সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফ্লিনের গত ডিসেম্বরের বৈঠকের ব্যাপারে অন্তত চার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)। তদন্ত সংস্থাটির কাছে অভিযোগ ছিল, গুলেনকে তুর্কি সরকারের হাতে তুলে দিতে ফ্লিন ওই প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সম্প্রচার মাধ্যম এনবিসি একই দিন সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সরকারের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর তুর্কি সরকারের জন্য কিছু একটা করে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল ফ্লিনকে। আর এ জন্য তাঁকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন তুরস্কের প্রতিনিধিরা।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে ফ্লিনের আইনজীবী রবার্ট কেলনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে তদন্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাঁরা এত দিন কোনো প্রকার গুঞ্জন বা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেননি। তবে এবার যে খবরটি চাউর হয়েছে, তাতে জেনারেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে অপহরণ থেকে ঘুষ পর্যন্ত অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, ‘খবরটি এতটাই সাংঘাতিক ও ক্ষতিকর যে আমরা আমাদের নীরব থাকার সাধারণ নিয়ম ভেঙে বলতে বাধ্য হচ্ছি, অভিযোগগুলো মিথ্যা।’

এ ব্যাপারে ফ্লিনের ছেলে মাইকেল ফ্লিন জুনিয়রের আইনজীবী ব্যারি কোবার্ন কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বিশেষ কৌঁসুলি মুলারের দলের মুখপাত্রও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।