পড়াশুনা, পরীক্ষা ও ফলাফল

06-11-2017 09:42:55 AM

ঢাবিতে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

newsImg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

আজ রোববার দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুঁইয়া, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জামাল উদ্দিন, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ প্রমুখ।

সিনেট সদস্য জামাল উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। এ ঘটনায় শিক্ষক সমিতির নিশ্চুপ ভূমিকার সমালোচনা করেন তাঁরা। সমিতি থেকে দোষীদের বহিষ্কার করারও দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

প্রক্টর গোলাম রব্বানীকে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক জামাল উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থেকে প্রক্টর অধ্যাপক রব্বানী এ ধরনের প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন না। এ ঘটনার দায়িত্ব নিয়ে তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বান করছি। না হলে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’

ঢাবিতে সাবেক ও বর্তমান উপাচার্যপন্থী বলতে কিছুই নেই বলে মনে করেন  অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য আসবেন আবার যাবেন। এটি সরকারের ওপর নির্ভর করে যে কাকে নিয়োগ দেবেন। উপাচার্য পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ যেভাবে ক্ষমতার আস্ফালন ও ক্ষমতা বিস্তারের চেষ্টা করছে তা জাতিকে লজ্জিত করছে।’

নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল আজিজ বলেন, ‘এ ধরনের মানববন্ধনে দাঁড়ানো আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। সমাজ আমাদের (শিক্ষক) সম্মানের স্থানে বসিয়েছে। কিন্তু আমরাই একে প্রশ্নবিদ্ধ করছি। তাই উপাচার্যকে বলব যাতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অপরাধীদের আশ্রয় না দেন।’ তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

আবদুল আজিজ আরো বলেন, ‘নীল দলের মধ্যে কোনো বিভক্ত নেই। আবার কেউ কেউ বলেছেন এ ঘটনা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেই হয়েছে। এটা ঠিক নয়। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যকার এ ঘটনা কোনো ব্যক্তিগত নয়।’

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীল দলের সভায় প্রক্টরের বিরুদ্ধে অধ্যাপক জামাল উদ্দীনকে হামলার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এ অভিযোগ প্রক্টর অস্বীকার করেছেন। তিনিও পাল্টা অধ্যাপক জামাল উদ্দীন তাঁকে হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেন।