19-12-2016 09:40:21 AM

তৃতীয় পক্ষ দেখেন না সাখাওয়াত, আইভীর দাবি ওসি পাল্টানোর

newsImg

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান গতকাল রোববার সকালে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ, চৌরাপাড়া, কাইতাখালী এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। তৃতীয় পক্ষ গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে, নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় আইভীর এমন আশঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের সাখাওয়াত বলেন, ‘ওনাকে (আইভী) জিজ্ঞেস করেন, তৃতীয় পক্ষটা কে? আমরা এখানে তৃতীয় পক্ষ দেখি না। আমরা দেখি দুইটা পক্ষ, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। আমরা বিরোধী দল, কোনো জোর বা খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করব না।’ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি দল কিছুটা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। সে কারণে তিনি শঙ্কিত।
অবশ্য নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। নির্বাচনে যাতে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুহা. সরাফত উল্লাহকে পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। গতকাল ১১ নম্বর ওয়ার্ডের খানপুর বাজার এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবির কথা জানান তিনি। আইভী বলেন, ‘তিনি বেশি রকমের স্ববিরোধী কাজ করাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগই নয়, ওই এলাকার জনগণেরও দাবি ওসিকে পরিবর্তন করা হোক।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম পক্ষ যে-ই হোক না কেন, নির্বাচন কমিশন যদি শক্ত ভূমিকা পালন করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি তৎপর থাকে, তাহলে কারও ক্ষমতা নেই কলকাঠি নাড়ার।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ওসি পরিবর্তনের বিষয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণভবনে আইভী: গত রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইভী দেখা করেছেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে কেউ নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি। আইভীও স্বীকার করেননি।
গাড়ি নিয়ে বিতর্ক: বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন গতকাল গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আইভি নির্বাচনী প্রচারের কাজে যে গাড়িটি ব্যবহার করছেন, তা সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার সুফিয়ানের। ওই ঠিকাদার সিটি করপোরেশনের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন।
এ বিষয়ে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুফিয়ান যুবলীগের কর্মী। ঠিকাদারি ওর পেশা। আমি শুধু সুফিয়ানের গাড়ি ব্যবহার করি না। আমার বোন-ভাই অনেকের গাড়ি ব্যবহার করি। আমার নিজের গাড়ি নাই।’
সরে দাঁড়ালেন এলডিপির প্রার্থী: বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এলডিপির কামাল প্রধান। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমও উপস্থিত ছিলেন।